জয়পুুরহাটে ভোলা হত্যা মামলায় ৬ ভাইসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ০৯, ২০২৩

জয়পুুরহাটে ভোলা হত্যা মামলায় ৬ ভাইসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন

 

জয়পুুরহাটে ভোলা হত্যা মামলায় ৬ ভাইসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুুরহাটে ভোলা হত্যা মামলায় ৬ ভাইসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন

নিরেন দাস,জয়পুরহাট প্রতিনিধি:

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে ভোলা হত্যা  মামলায় ছয় ভাইসহ ১৪জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে প্রত্যেকর ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।


বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর ) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র বিচারক নূর ইসলাম এ রায় দেন।


দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জয়পুরহাটের  উপজেলার হরেন্দ্রা গ্রামের মৃত বিরাজ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে,

 আব্দুল মান্নান, ছানোয়ার হোসেন, সাহাজ হোসেন, আনোয়ার হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, রিয়াজ উদ্দিন ওরফে রেয়াজ,  খয়বর আলীর ছেলে রমজান আলী,  আব্দুল ওহাব, সামছুদ্দিনের ছেলে, ফারুক হোসেন, মৃত হাতেম আলীর ছেলে মো: দুলো, আব্দুল খালেক, মৃত অফির উদ্দিনের ছেলে শাহজাহান, মৃত মজিবর রহমানের ছেলে শফিকুল ইসলাম,  আব্দুল খালেকের ছেলে আনিছুর ওরফে আনিছুর রহমান।


আদালত ও  মামলার বিবরনীতে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ৫ মে পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দ্রা গ্রামে নিহত ভোলাসহ তারা চার ভাই মিলে পাওয়ার টিলার নিয়ে বাড়ি থেকে দুরে মাঠের মধ্যে পাওয়ার টিলার নিয়ে জমি চাষ করতে যায়। এরপর রাত দেড় টার দিকে জমির পাশে ৪ ভাই শ্যালো মেশিনের পার্শ্বে বিছানা করে শুয়ে পড়ে। এরপর হঠাৎ করে জমিতে কাঁদার মধ্যে হাটার শব্দ পায়। এসময় তারা তাদের কাছে থাকা টর্চ লাইট জ্বালিয়ে দেখতে পান মুখ চেনা কয়েকজন ব্যক্তি পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের দিকে এগিয়ে আসে। এক পর্যায়ে  ভোলাকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন। এসময় অন্য ভাইয়েরা চিৎকার দিলে তাদের কপালে পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাতেই প্রথমে পাঁচবিবির মহীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।


সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়।  এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই দোলা মন্ডল বাদী হয়ে ৬ নভেম্বর পাঁচবিবি থানায় ২৫জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন। পরবর্তীতে তৎকালীন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আব্দুস সাত্তার ২০০৪ সালের ৩০  এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর দীর্ঘ শুনানী শেষে ৯জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্যতে আদালতের বিচারক এ রায় দেন।


বাদী পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল পিপি ও আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম।



Post Top Ad

Responsive Ads Here