![]() |
আব্দুল্লাহ আল নোমান, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:
বরগুনার আমতলীতে দ্বিতীয় দিনের মতো ১৫২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন শিক্ষকরা। এতে ২৪ হাজার শিক্ষার্থীর পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যালয়ে এসে শিক্ষক না পেয়ে শিক্ষার্থীরা হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে।
জানা গেছে, দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবিতে গত শনিবার থেকে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। ওইদিন বিকেলে আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর পুলিশের অভিযানের পর ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে শিক্ষক সমাজে।
এরপরই শিক্ষক নেতারা তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন ও পুলিশের শাস্তির দাবিতে সারাদেশে কর্মবিরতির ঘোষণা দেন। রবিবার থেকে শুরু হওয়া এই কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিন সোমবারও কোনো বিদ্যালয়ে পাঠদান হয়নি।
শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকলেও শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করছেন না। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম উদ্বেগ ও হতাশা দেখা দিয়েছে।
চুনাখালী বোর্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানভির, জিনিয়া ও আব্দুল্লাহ জানান, “বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা ক্লাস নিচ্ছেন না, তাই আমরা ফিরে যাচ্ছি।”
অভিভাবক নূর জামাল ও মিরাজ বলেন, “বছরের শেষ দিকে ক্লাস বন্ধ থাকায় সন্তানের লেখাপড়ায় বিঘ্ন ঘটছে। দ্রুত সরকার শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিক—এটাই আমাদের আশা।”
চুনাখালী বোর্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, “২৫ বছর চাকরি করেও এখনও ১৩তম গ্রেডে আছি। উচ্চতর গ্রেড ও পদোন্নতি বন্ধ রয়েছে। সরকার দাবি মেনে নিলে আমরা শ্রেণিকক্ষে ফিরব।”
আমতলী একে হাই সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি বরগুনা জেলা শাখার সভাপতি একে এম জিল্লুর রহমান বলেন, “শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে ফিরতে চান, কিন্তু সরকার দাবি না মানায় তা সম্ভব হচ্ছে না। সরকার প্রজ্ঞাপন দিলেই আমরা কাজ শুরু করব।”

