![]() |
| চাঞ্চল্যকর শিশু জায়ান হত্যা মামলা: ৪ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে ইউনুচ মোল্যা |
আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় আলোচিত সাত বছর বয়সী শিশু জায়ান রহমান হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া প্রতিবেশী ইউনুচ মোল্যা (৪৫) কে চার দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ফরিদপুরের ৯ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক আনারুল আসিফ শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে চার দিনের রিমান্ড শেষে ইউনুচ মোল্যাকে আদালতে হাজির করে আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আলফাডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুজন বিশ্বাস আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১০ ডিসেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সুজন বিশ্বাস সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর কারাগার থেকে ইউনুচ মোল্যাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়।
রিমান্ড শেষে আদালতে দাখিল করা প্রতিবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ইউনুচ মোল্যা জানান, নিহত শিশু জায়ান রহমানের মরদেহে ব্যবহৃত ফাঁসের রশিটি তিনি টাবনী বাজারের মফিজ খানের মুদি দোকান থেকে কর্মচারী আকাশ (২০)-এর কাছ থেকে কিনেছিলেন। তবে জিজ্ঞাসাবাদের সময় আসামি একাধিকবার বিভ্রান্তিকর ও অসংলগ্ন বক্তব্য দেওয়ায় তার দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। প্রয়োজনে পুনরায় রিমান্ডের আবেদন করা হতে পারে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
পুলিশ জানায়, মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিকে কারাগারে আটক রাখা প্রয়োজন হওয়ায় আদালতে আবেদন করা হয় এবং তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ নভেম্বর আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের গ্রীসপ্রবাসী পলাশ মোল্যার সাত বছর বয়সী ছেলে জায়ান রহমানের মরদেহ বাড়ির পাশের একটি ঝোপঝাড় থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শিশুটির মা সিনথিয়া বেগম অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তে নিহত শিশুর গলায় পাওয়া রশিটি গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হিসেবে চিহ্নিত হয়। তদন্তে জানা যায়, ঘটনার কিছুদিন আগে প্রতিবেশী ইউনুচ মোল্যা পার্শ্ববর্তী টাবনী বাজারের মফিজ খানের দোকান থেকে ওই রশির সঙ্গে মিল রয়েছে এমন একটি রশি কিনেছিলেন। প্রাথমিকভাবে বিষয়টি অস্বীকার করলেও পুলিশের সন্দেহ আরও জোরালো হয়। পরে গত ২৫ নভেম্বর তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান বলেন, “আসামির কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে। রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।”

