টাঙ্গাইলে ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রীর কণ্যা সন্তান প্রসব! - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

শিরোনাম

Monday, August 27, 2018

টাঙ্গাইলে ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রীর কণ্যা সন্তান প্রসব!

জাহাঙ্গীর আলম, টাঙ্গাইলচাচা ও ভাতিজার যৌন লালসার শিকার টাঙ্গাইলের ভ‚ঞাপুর উপজেলার নিকলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর সেই ছাত্রী কণ্যা সন্তানের মা হয়েছে। রোববার বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে অপারেশনের মাধ্যমে সে মাতৃত্বের স্বাদ গ্রহন করে। ওই হাসপাতালের গাইনী বিভাগের অধ্যাপক ডা.নাজমা খলিল এ অপারেশন সম্পন্ন করেন। বর্তমানে মা-মেয়ে উভয়ই সুস্থ আছেন। এর আগে শনিবার ভোর ৫ টার দিকে ওই মেয়েটি প্রসব ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের এক নম্বর ওয়ার্ডের এক নম্বর বেডে ওই স্কুল ছাত্রী মেয়েকে নিয়ে শুয়ে আছেন। জন্ম নেয়া ওই শিশুটির দেখভাল করছেন স্কুল ছাত্রীর মা কমলা বেগম ও বড় বোন মরিয়ম। পাশেই নিরবে বসে আছেন বাবা আবুল হোসেন ও ভগ্নিপতি মোখলেছুর রহমান। তাদের চোঁখে-মুখে শুধুই হতাশার ছাপ। 
হাসপাতালে কথা হয় ছাত্রীর বাবা মো. আবুল হোসেনের সাথে। তিনি বলেন, আমার মেয়ে এমনিতেই শিশু তার মধ্যে আবার আরেকটি শিশুর মা হলো। এখন এ শিশুর দায়িত্ব নেবে কে? আর পিতৃ পরিচয় কি? আমি এই মেয়েকে নিয়ে এখন কি করবো। আমি মামলা করার পরও মূল আসামি আনছের আলী ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। তারা আমার মেয়েকে হত্যার  হুমকিও দিচ্ছে। আমি কি এর কোন বিচার পাবো না। নাকি আমি গরীব বলে বিচার পাওয়ার অধিকার নাই?
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কালিহাতী থানার এস আই মো.মনির হোসেন বলেন, স্কুল ছাত্রীর বাচ্চা প্রসবের বিষয়টি আমি শুনেছি । মামলাটি একটু জটিল। ইতিমধ্যে মামলার এক আসামী শরিফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি, সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। ওই স্কুল ছাত্রী ও শরিফুলের ডিএনএ পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। প্রধান আসামী আনছের আলীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য দরিদ্র হওয়ার কারনে কালিহাতী উপজেলার গিলাবাড়ি গ্রামের আনছের আলীর বাসায় কাজ করতো ওই স্কুল ছাত্রী। কাজের সুবাধে আনছের আলী ওই স্কুল ছাত্রীকে নিয়মিত ধর্ষণ করতো। ধর্ষণ করার সময় ঘটনাটি দেখে ফেলে তারই আপন বড় ভাই মুনসুর আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম। পরে শরিফুল ঘটনাটি লোকজনের কাছে বলে দেয়ার ভয় দেখিয়ে সেও মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। হত্যার ভয় দেখিয়ে ও কাউকে কিছু না বলতে ওই মেয়েকে নিষেধ করে দেয় আনছের আলী ও শরিফুল। পরবর্তীতে সুযোগ বুঝে চাচা-ভাতিজা প্রায়ই তাকে ধর্ষণ করতো। ধর্ষণের ফলে সে অন্তঃসত্বা হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর পিতা বাদি হয়ে চাচা আনছের আলী ও ভাতিজা শরিফুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তারের পর আদালতে স্বীকারোক্তিম‚লক জবানবন্দি দেয় শরিফুল। ঢাকায় অবস্থান করায় ঘটনার মূলহোতা আনছের আলীকে গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হয় পুলিশ।

No comments: