আজিজুল ইসলাম সজীব,হবিগঞ্জ প্রতিনিধি -হবিগঞ্জে আনসার নিয়োগে বিভিন্ন পন্থায় চলছে মোটা অংকের ঘুষ বাণিজ্য। টাকা দিলে হয় আনসারের চাকুরী। শুক্রবার হবিগঞ্জে জেলা আনসার ভিডিপি অফিসে ছিল আনসার নিয়োগের চুড়ান্ত যাচাই-বাচাইয়ের দিন।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ জেলার দায়িত্ব প্রাপ্ত সার্কেল এ্যাডজুটেন্ড মোঃ শাহ আলম জানান, হবিগঞ্জ জেলার ৭শ’ ৩৫ জন পুরুষ অনলাইনের মাধমে তাদের আবেদনপত্র জমা দেন। শুক্রবার হেড অফিস থেকে টিম এসে আবেদনপত্র বাছাই করেন। আবেদনকারী সকলকেই পরীক্ষায় অংশ নিতে সযোগ করে দয়ে উক্ত বাছাই কমিটি। আগামী ২ অক্টোবর সিলেট আকালিয়া আনসার অফিসে তাদের পরীক্ষা নেয়া হবে। পরীক্ষায় কতজন আনসারকে উত্তীর্ণ দেখানো হবে তিনি তা জানা নাই বলে জানান।
তবে অনসার বিভাগের অপর এক কর্মকর্তা জানান, এবার হবিগঞ্জ থেকে ৫৯ জন আনসার নিয়োগ দেয়া হবে।
বাছাই করে আবেদনকারীদের আগামী ২ অক্টোবর সিলেট আকালিয়া আনসার অফিসে তাদের লিখিত ও মুখিক পরীকক্ষা নেয়া হবে। উক্ত পরীক্ষায় উত্তির্ণদের প্রশিক্ষণের পর চাকুরীতে নিয়োগ দেয়া হবে।
এ দিকে একটি সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জে আনসার নিয়োগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিভিন্ন পন্থায় আনসারেদের কাছ থেকে মোটা অংকে ঘুষ নিচ্ছে এ বিষয়টি জানতে চাইলে শাহ আলম বলেন, ঘুষ দেয়া নেয়া হয় তা আমার জানা নাই। তবে আমি নিয়োগ কমিটিতে নাই। হেড অফিস থেকে সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়াটি পরিচলনা করা হচ্ছে।
নিয়োগ কমিটির নিকট অনুরোধ করা হয় চাকুরীর জন্য আর এ সুযোগে আনসারের কাছ থেকে নেয়া হয় মোট অংকের টাকা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কমিটি যদি কারো অনুরোধ গ্রহণ করে তাহলে এমনটি হতে পারে।
তিনি বলেন, পূর্বে আনসার নিয়োগে ব্যাপক ঘুষ বাণিজ্য হতো। এটি বন্ধের জন্য হেড অফিসের হাতে নিয়োগ পদ্ধতি ন্যাস্ত করা হয়েছে এবং নিয়োগের সকল প্রক্রিয়াই অনলাইনে করা হচ্ছে।
একটি সূত্রে জানা যায়, কিছু ইউনিয়ন আনসার ভিডিপি দলনেতা তারা আনসারের চাকুরী দেয়ার নামে চুক্তি করেন ৮০ থেকে ১ লাখ টাকা। চুক্তি ভিত্তিক আনসার ভিডিপির দল নেতারা স্থানীয় আনসার অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগ সাজেসে আনসারের প্রশিক্ষণে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। এর পর ভিডিপি নেতারা ঘুষেরে বিষয়টি গোপন রেখে উর্ধ্বতন অফিসারদের অনুরোধ করে চাকুরীর ব্যবস্থ করেন। তাছাড়া দু’এক শ্রেণি পড়েছে এমন লোককে ভূয়া স্কুল সার্টিফিকেট দিয়ে হাতিয়ে নেন আরো বিপুল অর্থ। একটি চাকুরীর জন্য গ্রামের অসহায় দরিদ্র মানুষ এভাবেই প্রতারিত হচ্ছেন তাদের হাতে। তাদের ঘুষের টাকা যোগার করতে আনসার সদস্যরা মহাজনদের কাছ থেকে চড়া সুদ দিয়ে টাকা আনতে হচ্ছে।
মোঃ শাহ আলম জানান, ঢাকা হেড অফিস থেকে পরীক্ষার্থীদের মোবাইল ফেনে এসএমএসের মাধ্যমে পরীক্ষার ফলাফল জানানো হবে। পরীক্ষায় উত্তির্ণ হওয়া আনসারদের ৬ অক্টোবর শফিপুর আনসার একাডেমীতে ৭০ দিনের একটি প্রশিক্ষণে অংশ নিতে তাদের মোবাইলে এসএমএস দিয়ে জানানো হবে। প্রশিক্ষণের শেষে তাদেরকে বিভিন্ন জেলায় চাকুরীতে নিয়োগ দেয়া হবে।
No comments:
Post a Comment