না ফেরার দেশে বীরপ্রতীক তারামন বিবি - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

শনিবার, ডিসেম্বর ০১, ২০১৮

না ফেরার দেশে বীরপ্রতীক তারামন বিবি

রফিকুল ইসলাম, রাজিবপুর, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃকুড়িগ্রাম জেলার রাজিবপুর উপজেলার গৌরব বীরপ্রতীক তরামন বিবি বিজয় মাসের প্রথম প্রহর রাত দেড়টায় রাজিবপুরের নিজ বাড়ীতে ইন্তেকাল করেন। (ইন্নানিল্লাহি..................। দীর্ঘদিন ধরে নানা রোগে ভূগছিলেন ৬১টি বছর বয়সী দুই সন্তানের জননী এই মহিয়সী নারী সৈনিক বীরপ্রতীক তারামন বিবি।

তারামন বিবির জন্ম ১৯৫৭ সালের জানুয়ারী মাসে রাজিবপুর উপজেলার প্রত্যন্ত চরাঞ্চল শংকর মাধবপুর গ্রামে। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ১১ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করে উপহার দেন স্বাধীন বাংলাদেশ। অসামান্য অবদান রেখে শুক্রবার দিবাগত রাত্রি দেড়টায় বাড়ি জমান না ফেরার দেশে।স্বাধীনতা যুদ্ধে সাহসীকতা ও বীরত্বপূর্ন অবদানের জন্য ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ সরকার তারামন বিবিকে বীরপ্রতীক খেতাবে ভূসিত করেন।  
বেলা ২ টায় রাজিবপুর উপজেলা চত্তরে তার নামাযে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযার পূর্ব মুহুর্তে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন ও কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার মেহেদুল করিম এর নেতৃত্যে রাষ্ট্রীয় মর্য়াদায় গার্ড অব অনার প্রদান করেন । এ সময় উপস্থিত ছিছেন কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন আমিনুল ইসলাম, জেলা মুক্তিযুদ্ধ কমান্ড শওকত আলী বীর বিক্রম, কুড়িগ্রাম-৪ এর সংসদ সদস্য রুহুল আমিন, সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য জাকির হোসেন, সাবেক রাষ্ট্রদূত আশরাফ উদৌলা তাজ, রাজিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যার শফিউল আলম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান, রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপঙ্কর রায়সহ কুড়িগ্রামের শীর্ষস্থানীয় মহল এবং হাজার হাজার জন সাধারন। 
বীর প্রতীক তারামন বিবির মৃত্যুতে পুরো এলাকায় নেমে এসছে শোকের ছায়া। জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে স্থানে তার মরদেহ সমাহিত করা হয়।

Post Top Ad

Responsive Ads Here