কালিহাতীতে যুবলীগ সম্পাদকের নেতৃত্বে বাংলা ড্রেজার ও ভেকু দিয়ে বালু উত্তোলন;হুমকির মুখে ব্রিজ, স্কুল ও বসতবাড়ী - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

শিরোনাম

Wednesday, April 17, 2019

কালিহাতীতে যুবলীগ সম্পাদকের নেতৃত্বে বাংলা ড্রেজার ও ভেকু দিয়ে বালু উত্তোলন;হুমকির মুখে ব্রিজ, স্কুল ও বসতবাড়ী

জাহাঙ্গীর আলম, কালিহাতী-
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গাতে এলেংজানী নদীতে অবৈধ বাংলা ড্রেজার ও ভেকু দিয়ে বালু উত্তোলন চলছেই। এতে হুমকির মুখে রয়েছে ব্রিজ, স্কুল ও বসতবাড়ী। উপজেলার এলেঙ্গায় বাশি গ্রামের প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতা জলিল, রনি, মোবারক মেম্বারের ছেলে আমিনুর, মিজান সহ বালু খেকোরা ১২ টি বাংলা ড্রেজার বসিয়ে অবাধে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছেই। হুমকীর মুখে পড়েছে বাশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এলেঙ্গা ব্রিজ। অপরদিকে এলেঙ্গা ব্রিজের উত্তর দিকে চুনিয়াবাড়ী ঘাটে কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মোল্লার নেতৃত্বে অবৈধ ভেকু বসিয়ে বালু বিক্রী চলছেই। এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় ও রাজনৈতিক ভাবে সাধারণ সম্পাদকের নাম ব্যবহার করে প্রতিনিয়তই চালাচ্ছে এ বালু ব্যবসা। সরকারী ভাবে নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন করা নিষিদ্ধ থাকলেও তার কোন তোয়াক্কা করছে না এই বালু খেকো মহলটি।

স্থানীয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, বালু খেকোরা প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতে পারে না। কেউ প্রতিবাদ করলে তারা দাঙ্গা হাঙ্গামা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল হাজতের ভয় দেখায়।


স্কুল পড়–য়া অভি নামের এক ছাত্র আক্ষেপ করে বলেন, আমরা বালু খেকোদের কারণে এই রাস্তা দিয়ে সঠিক ভাবে চলাফেরা ও স্কুলে যেতে পারি না। সব সময় মাটির গাড়ী আসে আর যায়। গতকাল আমার ছোট ভাই মাটিবাহী ট্রাকের নিচে প্রায়ই পড়ে গিয়েছিল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের এক নেতা জানান, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদকের বাড়ী রাজাবাড়ী হওয়ায় জোর জব্বরি করে এবং ধরাকে স্বরাজ্ঞান করে এই অবৈধ বালু মহল চালাচ্ছেই।

বালু মহলের ঘাট মালিক গোলাম মোস্তফা গোলাপ বলেন, আমরা স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই দীর্ঘদিন যাবৎ এ ব্যবসা করে আসিতেছি। আপনারা লেখবেন তাতে কি হবে। প্রশাসন আসার আগেই আমাদের সংবাদ দিবে। আমরা ঘাট বন্ধ রাখব।

স্থানীয় শাহাদৎ নামের এক কৃষক জানান, ইতিপূর্বে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাঝেমধ্যেই অভিযান চালাতো তখন নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনও কমে গিয়েছিল। বর্তমানে নির্বাহী কর্মকর্তা কোন অভিযান না চালানোর কারণে বালু খেকোরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। কালিহাতী থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মোল্যার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বালু ব্যবসার সাথে জড়িত বলে জানান।

এ ব্যাপারে কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেবনাথ বলেন, ভেকু ও ড্রেজার বসিয়ে মাটি উত্তোলনের বিষয়টি আমি জানি না। তবে এ বিষয়ে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

No comments: