সরিষাবাড়ীতে ভূট্টার বাম্পার ফলন;কৃষকের মুখে হাসি - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

শিরোনাম

Wednesday, April 17, 2019

সরিষাবাড়ীতে ভূট্টার বাম্পার ফলন;কৃষকের মুখে হাসি

জাহিদ হাসান,সরিষাবাড়ী(জামালপুর)প্রতিনিধিঃ

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ৮ টি ইউনিয়নে ভূট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষক অধীর আগ্রহে মনের খুশিতে মাঠে কাজ করছে। চরাঞ্চলের এলাকা জুড়ে এখন শুধু হলুদ ভ‚ট্টা শোভা পাচ্ছে। ঝিলমিল করছে ভ‚ট্টার দানা। কিন্তু দাম কম হওয়ায় হতাশ কৃষক। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার পোগলদিঘা, পিংনা, আওনা, ডোয়াইল, কামরাবাদ, ভাটারা ইউনিয়নের অধিকাংশ প্রান্তিক ও চরাঞ্চলের চাষীরা ভ‚ট্টা চাষ করেছে। অন্য ফসলের তুলনায় ভূট্টা চাষ কম খরচে বেশি লাভজনক হওয়ায় এ ভূট্টা চাষ করছে তারা। এতে খরচ কম ফলন বেশি। পানির সেচও তেমন বেশি দিতে হয়না। এক বিঘা জমিতে ধান চাষ করলে ১৪ থেকে ২০ মন ধান হয় অপর দিকে এক বিঘা জমিতে ভূট্টা হয় থেকে ৩৮ থেকে ৪০ মন। দামের তেমন পার্থক্য নেই। কীটনাশক সারের ব্যবহারও কম। গত বছরের চেয়ে অধিক হেক্টর জমিতে ভূট্টা চাষ হয়েছে অনেক বেশি। জমিতে ফলনের আকৃতি ভাল হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। অন্যান্য রবি শস্যের চেয়ে ফলন বেশি হওয়ায় ভূট্টার বাম্পার ফলন দেখা দিয়েছে। কিন্তু দাম নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছে কৃষক। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছর এ উপজেলার ৬৫০ হেক্টর জমিতে ভূট্টার আবাদ হয়েছিল । এবছর লক্ষ্য মাত্রা ছাড়িয়ে ১০৫০ হেক্টর জমিতে ভূট্টা আবাদ করছেন কৃষক। তাছাড়া ভূট্টার আখ গোখাদ্য আর ডাটা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হওয়ায় এজন্যও কৃষক ভূট্টা চাষে আরো বেশি আগ্রহ সহকারে এ আবাদ করে থাকে। চরাঞ্চলের ভূট্টা চাষিরা অন্য ফসলের চেয়ে ভূট্টাকে এখন একমাত্র ফসল হিসেবে বেছে নিয়েছে। । গতবছর যে মূল্য পেয়েছে তার চেয়ে বেশি মূল্য থাকলে বন্যায় অন্য ফসলের যে ক্ষতি হয়েছে তা কিছুটা হলেও পুশিয়ে নিতে পারবে এই ভূট্টা চাষে। পিংনা  ইউনিয়নের নলসোন্ধা গ্রামের ভুট্টা চাষি লিয়াকত আলী বলেন, আমি এ বছর ৩ বিঘা জমিতে ভূট্টার আবাদ করেছি। যা গত বছরের চেয়ে বেশি জমিতে ভূট্টা আবাদ করেছি। এ বছর যেমন দেখছি তাতে বিঘাতে ৩৫ মন ছাড়িয়ে যাবে আসা করছি। তবে দাম কম হওয়ার কারনে আমাদের লোকসান গুনতে হবে। চর আওনা গ্রামের কৃষক মশিউর রহমান বলেন ‘আমাদের বাচতে হলে ভূট্টা চাষ করতে হবে। কারন অন্য ফসলের চেয়ে ভূট্টা চাষ লাভজনক। আর সমস্যা হলো ভুট্টা কেনার জন্য পাইকার নেই বললেই চলে। সরকারী ভাবে যদি সরাসরি আমাদের কাছ থেকে ভুট্টা ক্রয় করে তবে আমরা ন্যার্য দাম নিতে পারবো। আর আমরাও লাভবান হবো। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ভূট্টা চাষে কৃষকের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটায় তাই তারা বেশি বেশি ভূট্টা চাষ করে। আমাদের কৃষকরা যখন যে পরামর্শ চেয়েছে আমরা তা ঠিক ঠিক মত দিয়েছি। আমাদের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা আছে তারা কৃষকের সাথে সব সময় যোগাযোগ রক্ষা করছে। তাদের ভুট্টা চাষে বিভিন্ন রকম পরামর্শ দিয়েছে।
ফলন যেমনি হউক সঠিক ম‚ল্য পাবে কিনা এমনটাই আশঙ্কা এখন এই নিভৃত সরিষাবাড়ী কৃষকের। এছাড়া সরকারী ভাবে ভুট্টা সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে কেনার জন্য দাবি করেন তারা।

No comments: