বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বুধবার, এপ্রিল ১৭, ২০১৯

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল

খেলাধুলা ডেস্ক-
আগামী ৩০ মে থেকে ইংল্যান্ডে শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আসর। নিয়মানুযায়ী সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ২০১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের জন্য ১৫ সদস্যের বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। অপেক্ষার পালা শেষে জানা গেল কোন ১৫ স্বপ্নসারথি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধিত্ব করতে যাচ্ছেন। যাদের কাঁধে ভর করে দেশের ১৬ কোটি মানুষ বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখবে, সেই টাইগারদের নাম ঘোষণা করলেন জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু।

 
গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের কনফারেন্স হলে জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা করেন বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচক।
১৫ জনের বাংলাদেশ দলে বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা আছে আট জনের। এদের মধ্যে কয়েকজনের একাধিক বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতাও আছে। মোস্তাফিজ, মিরাজ, লিটন, মিঠুনদের মতো যারা প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলছেন তাদের অভিজ্ঞতাও কম নয়। দীর্ঘদিন জাতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতা নিয়েই আগামী ৩০ এপ্রিল তারা দেশ ছাড়বেন। ইতোমধ্যে প্রতিটি দেশ দল ঘোষণা করলেও আগামী ২৩ মে পর্যন্ত দলে পরিবর্তন আনা যাবে।
বিশ্বকাপে পাঁচবার অংশ নেওয়া বাংলাদেশের সেরা সাফল্য কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা। ষষ্ঠবার অর্থাৎ ২০১৯ বিশ্বকাপে আরেক ধাপ এগোনোর স্বপ্ন দেখছেন আকরাম খান। বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যানের আশা, ইংল্যান্ডের মাটিতে সেরা চারে জায়গা করে নিয়ে সেমিফাইনালে খেলবে বাংলাদেশ।

দল ঘোষণার পর মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে আকরাম খান বলেছেন, ‘আশা করি, বাংলাদেশ এক থেকে চারের মধ্যে থাকতে পারবে। ২০১৫ বিশ্বকাপের পর থেকে আমরা অনেক ম্যাচ জিতেছি। এই দলটা কয়েক বছর ধরে নিয়মিত খেলছে, আর এটাই আমাদের প্লাস পয়েন্ট। অনেক দলের চেয়ে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা বেশি, যে কারণে দল নিয়ে আমাদের প্রত্যাশাও বেশি। আমি তো মনে করি এই দলের সেমিফাইনালে খেলার সামর্থ্য আছে।’
জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়কের বিশ্বাস, এটাই বাংলাদেশের সেরা বিশ্বকাপ দল-‘অবশ্যই এটা সেরা দল। এই দলে একজন বাদে বাকি সবার ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। দলটাকে আমি ব্যালান্সডই বলব। সবার অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারলে ইনশাল্লাহ আমরা ভালো করতে পারব।’
এবারের বিশ্বকাপে ফরম্যাটে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। ১০টি দল লিগ পদ্ধতিতে একে অন্যের মুখোমুখি হবে, তারপর সেরা চার দল খেলবে সেমিফাইনালে। বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজেও অংশ নেবে বাংলাদেশ। আকরাম জানিয়েছেন, ‘একটানা ১৪টি ম্যাচ খেলা (আয়ারল্যান্ড সফরসহ) বেশ কঠিন। এত ম্যাচের কথা মাথায় রেখেই অভিজ্ঞদের নিয়ে দল গড়েছি আমরা। কারণ অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা মানসিকভাবে স্থির থাকতে পারবে।’
বিশ্বকাপের বাংলাদেশ দল : মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান (সহ-অধিনায়ক), লিটন দাস, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ মিঠুন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মুশফিকুর রহীম, মোস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন, সাব্বির রহমান, সৌম্য সরকার, তামিম ইকবাল, মোসাদ্দেক হোসেন, আবু জায়েদ চৌধুরী।

মাশরাফি বিন মর্তুজা 
৩৫ বছর বয়সী নড়াইল এক্সপ্রেস বলে খ্যাত অধিনায়ক মাশরাফির এটাই শেষ বিশ্বকাপ। জাতীয় দলের হয়ে মোট তিনটি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছেন তিনি। অধিনায়কত্ব করেছেন ২০১৫ বিশ্বকাপে। ইনজুরির কারণে ছিটকে গিয়েছিলেন ২০১১ বিশ্বকাপে। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে চমক সৃষ্টি করেছিল। এবারের বিশ্বকাপেও তেমনটাই আশা বাংলাদেশ ক্রিকেট ভক্তদের। 
এ পর্যন্ত ২০৫টি ওয়ানডে খেলেছেন মাশরাফি। উইকেট নিয়েছেন ২৫৯টি। ব্যাট হাতে রান করেছেন ১৭৫২ রান।


সাকিব আল হাসান
বাংলাদেশ দলের অন্যতম ভরসার নাম সাকিব আল হাসান। ৩২ বছরের এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের দিকেই তাকিয়ে থাকবে দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। বাহাতি ব্যাটসম্যান আর অর্থডক্স স্পিনার সাকিব ইতোমধ্যে তিনটি বিশ্বকাপ খেলেছেন। ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন সাকিব। এবারের বিশ্বকাপেও দলের কি প্লেয়ারের ভূমিকা পালন করতে পারেন সাকিব। ১৯৫টি ওয়ানডে ম্যাচে সাকিব ব্যাট হাতে রান করেছেন ৫৫৭৭ রান। সেঞ্চুরি করেছেন ৭টি। আর অর্ধশতক রয়েছে ৪০টি। বল হাতে সাকিব দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন।

তামিম ইকবাল 
বাংলাদেশ দলের বাঁহাতি অন্যতম ড্যাশিং ওপেনার। বাংলাদেশ দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান আর সেঞ্চুরি তার দখলে। ২০০৭ সালে অভিষেক বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন শক্তিশালী ভারতীয় দলের বোলিং লাইন আপকে। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। ৩০ বছর বয়সী তামিম এখন পর্যন্ত ৩টি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছেন। ২০১১ সালের বিশ্বকাপে সাকিবের ডেপুটি ছিলেন তিনি। তামিম বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে ওয়ানডে খেলেছেন ১৮৯টি। মোট রান করেছেন ৬৪৬০ রান। সেঞ্চুরি করেছেন ১১টি। হাফসেঞ্চুরি রয়েছে ৪৪টি।

রুবেল হোসেন 
বাংলাদেশ দলের অন্যতম পেসার ২৯ বছর বয়সী রুবেল হোসেন। তার দুর্দান্ত সুইং যে কোনো দলের ব্যাটসম্যানদের জন্য আতঙ্কের। এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের পেস আক্রমণে তার ভূমিকা থাকবে নিঃসন্দেহে। মাশরাফি আর মোস্তাফিজের সঙ্গে রুবেলের বোলিং বাংলাদেশ দলের বৈচিত্র্য এনেছে।
২০১১ সালে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে খেলেছেন রুবেল। মোট দুটি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছেন তিনি। গত বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষের ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন রুবেল হোসেন। রুবেল বাংলাদেশ দলের হয়ে ওয়ানডে খেলেছেন ৯৬টি। উইকেট নিয়েছেন ১২২টি।

মেহেদী হাসান মিরাজ
বাংলাদেশের ক্রিকেটে উজ্জ্বল তারকার মতো আগমন তরুণ তারকা মেহেদী হাসান মিরাজের। ২০১৬ সালে ঘরের মাঠে হওয়া অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি জিতেছিলেন টুর্নামেন্টে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। সে বছরই ডাক পেয়ে যান টেস্ট ক্রিকেটে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজে ১৯ উইকেট নিয়ে গড়েন বিশ্বরেকর্ড। সে ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালে ওয়ানডে দলেও ডাক পেয়ে যান মিরাজ। শুরুতে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে নিজের জায়গা পাকা করতে খানিক ভুগলেও ক্রমেই নিজেকে ‘অটো চয়েজ’ হিসেবে পরিণত করেছেন তিনি।


লিটন কুমার দাস
দিনাজপুরের ২৪ বছর বয়সী উইকেটরক্ষক এ ব্যাটসম্যান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নাম লিখিয়েছেন ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের পরপরই। ভারতীয় ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরে টেস্ট ও ওয়ানডে অভিষেক হয় তার। এখনো পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ২৭ ওয়ানডে। ১টি করে ফিফটি ও সেঞ্চুরিতে ৫০৮ রান করতে সক্ষম হয়েছেন।
ব্যাটিং পরিসংখ্যান খুব ভালো না হলেও ২০১৮ সালের এশিয়া কাপ ফাইনালে ১২১ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলা লিটন এরই মধ্যে প্রমাণ করেছেন তার সামর্থ্য রয়েছে বড় কিছু করার। তাই সুযোগ পেয়ে গেছেন ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে।

মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন
জাতীয় দলের দীর্ঘদিনের পেস বোলিং অলরাউন্ডারের অভাব মোচন হয়েছে ফেনীর ২২ বছর বয়সী তরুণ মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের আগমনের পরই।
২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নাম লিখিয়ে এখনো পর্যন্ত ১০টি ওয়ানডে খেলেছেন সাইফ। ব্যাট হাতে ১ ফিফটিতে করেছেন ১৭৫ রান, বল হাতে রয়েছে ৭টি উইকেট। তবে সম্প্রতি দুর্দান্ত সুইং বোলিংয়ে নিজের কার্যকারিতা আরও বাড়িয়েছেন সাইফউদ্দিন।

মোহাম্মদ মিঠুন
অমিত সম্ভাবনা নিয়ে ২০০৬ সালে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে নাম লিখিয়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন আলি। তবে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলকে প্রতিনিধিত্ব করা মিঠুন শুরুতে নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি। তবে ২০১৮ সালে বদলে যায় মিঠুনের ক্যারিয়ারের গতিবিধি। গত বছর নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টানা দুই ম্যাচে ফিফটি এবং এশিয়া কাপের মতো বড় আসরে ২টি ফিফটি হাঁকিয়ে জাতীয় দলে নিজের স্থান পাকাপোক্ত করেন মিঠুন। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ স্কোয়াডেও সুযোগ পেলেন ২৮ বছর বয়সী এ মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।

আবু জায়েদ রাহী 
বিশ্বকাপ স্কোয়াডের সবচেয়ে বড় চমক আবু জায়েদ রাহী। এখনো পর্যন্ত ওয়ানডে অভিষেকই হয়নি সিলেটের ২৫ বছর বয়সী এ পেসারের। গত বছর টেস্ট ও টি-২০ খেলেছেন তিনি।
৫ টেস্টে তার ঝুলিতে রয়েছে ১১ উইকেট, ৩টি-২০-তে রয়েছে ৪ উইকেট। তবে কন্ডিশন ভেদে দুর্দান্ত সুইং বোলিং করতে পারেন বলেই বিশ্বকাপের স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন ডানহাতি এ পেসার।

সৌম্য সরকার
২৬ বছর বয়সী সৌম্য সরকার বাংলাদেশ দলের হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান বলা চলে। পিটিয়ে খেলতে অভ্যস্ত সৌম্য সরকারের এটি দ্বিতীয় বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে দুর্দান্ত খেলেছিলেন তরুণ এই ক্রিকেটার। একেবারে অনভিজ্ঞ সৌম্য গত বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে বুঝিয়েছিলেন আগামী দিনে দলে তিনি থাকবেন। যদিও বর্তমান সময়ে তার ফর্ম 
ঠিক ভালো যাচ্ছে না।
সৌম্য এ পর্যন্ত ওয়ানডে খেলেছেন ৪১টি। রান করেছেন ১২৭৪। সেঞ্চুরি রয়েছে দুটি। আর হাফসেঞ্চুরি করেছেন ৭টি। বল হাতে মাত্র একটি উইকেট রয়েছে তার।

সাব্বির রহমান 
২৭ বছর বয়সী ডানহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান। সৌম্যর মতো গত বিশ্বকাপে সাব্বিরও বাংলাদেশ দলের চমক ছিলেন। যেদিন ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন সেদিন প্রতিপক্ষ বোলারদের তুলোধুনো করে ছাড়েন তিনি। সৌম্যর মতো সাব্বিরের ব্যাটে রয়েছে ধারাবাহিকতার অভাব। তারপরও এবারের বিশ্বকাপে তার ওপর আস্থা রেখেছেন নির্বাচকরা। সাব্বিরের এটি দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। সাব্বির ওয়ানডে খেলেছেন ৫৭টি। রান করেছেন ১২১২। একটি মাত্র ওয়ানডে সেঞ্চুরি রয়েছে তার। আর হাফসেঞ্চুরি রয়েছে ৫টি। তার উইকেট সংখ্যা ৩টি।

মোসাদ্দেক হোসেন 
মোহাম্মদ মিঠুনের মতোই আরেক সম্ভাবনাময় তারকা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তবে নিজেকে সে অর্থে মেলে ধরতে পারেননি তিনিও। তাই তো বিশ্বকাপ দলে সৈকতের অন্তর্ভুক্তি একপ্রকার চমক হিসেবেই গণ্য করা হচ্ছে। ২০১৬ সালে ওয়ানডে অভিষেকের পর থেকে এখনো পর্যন্ত ২৪ ম্যাচ খেলে ব্যাট হাতে ১ ফিফটিতে ৩৪১ রান এবং বল হাতে ৫.০২ ইকোনমি রেটে ১১ উইকেট শিকার করেছেন মোসাদ্দেক।

মোস্তাফিজুর রহমান 
বাংলাদেশ তথা বিশ্ব ক্রিকেটে বিস্ময় বালক হিসেবেই আবির্ভাব বাঁহাতি কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমানের। ২০১৫ সালে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেকের সিরিজেই প্রথম দুই ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়ে গড়েন বিশ্বরেকর্ড। সে বছর মাত্র ৯ ম্যাচে ২৬ উইকেট শিকার করেন তিনি। কাঁধের ইনজুরির কারণে সম্প্রতি গতি এবং সুইংয়ে খানিক পরিবর্তন এলেও এখনো প্রতিপক্ষের বুকে কাঁপন ধরাতে পারেন সাতক্ষীরার ২৩ বছর বয়সী এ পেসার। এখনো পর্যন্ত ৪৩টি ওয়ানডে খেলে ৩ বার পাঁচ উইকেট ও ২ বার চার উইকেটসহ মোট ৭৭ উইকেট শিকার করেছেন মোস্তাফিজ।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ 
দলের পঞ্চম পাণ্ডবের একজন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দলের কঠিন সময়ের হাল ধরতে তার জুড়ি নেই। ২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পরপর দুই সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই করে নিয়েছেন তিনি। ২০১১ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের জয়ে তার ভূমিকা অনস্বীকার্য।
৩৩ বছর বয়সী দুর্দান্ত অলরাউন্ডারও। মাহমুদউল্লাহ দুটি বিশ্বকাপে খেলেছেন। বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে এ পর্যন্ত ১৭১টি ম্যাচ খেলেছেন। রান করেছেন ৩৬৭৩ রান। সেঞ্চুরি করেছেন ৩টি আর হাফসেঞ্চুরি রয়েছে ২০টি। বল হাতে মাহমুদউল্লাহ উইকেট নিয়েছেন ৭৬টি।

মুশফিকুর রহীম
দলের প্রধান ব্যাটিং কাণ্ডারি। দলের সবচেয়ে বিপদের সময়েই হাল ধরে থাকেন মুশফিকুর রহীম। মূলত, উইকেটকিপার হিসেবেই দলে ঢুকেছিলেন ৩১ বছর বয়সী মুশফিকুর রহীম। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে তামিম, সাকিবদের সঙ্গে তরুণ ক্রিকেটার হিসেবে দুর্দান্ত খেলেছিলেন মুশফিক। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে করেছিলেন অপরাজিত অর্ধশতক রান। এ পর্যন্ত বিশ্বকাপ খেলেছেন ৩টি।

মুশফিক ২০১ ম্যাচ ওয়ানডে খেলেছেন। রান করেছেন ৫৩৯২ রান। তার ঝুলিতে সেঞ্চুরি রয়েছে ৬টি। হাফসেঞ্চুরি রয়েছে ৩২টি।

তথ্য-দৈনিক খোলা কাগজ

Post Top Ad

Responsive Ads Here