হবিগঞ্জের বানিয়াচঙ্গে প্রাইভেট পড়তে গিয়ে ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী শিক্ষকের যৌন হয়রানির শিকার - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

শিরোনাম

Wednesday, April 17, 2019

হবিগঞ্জের বানিয়াচঙ্গে প্রাইভেট পড়তে গিয়ে ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী শিক্ষকের যৌন হয়রানির শিকার

আজিজুল ইসলাম সজীব, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি-হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচংয়ে সরকারী ভাবে সংগঠিত করে ঘোষিত হয় কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার। সেই অবৈধ পন্থায় কোচিং সেন্টারে ৫ম শ্রেণীর ছাত্রীকে স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেওয়াসহ বিভিন্ন ভাবে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সরকারী প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। 

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে কোচিং সেন্টারে এ ঘটনাটি ঘটে। সারাদিন নিজের কৃত অপরাধ ঢাকতে বিভিন্ন ধরণের কুশলতা অবলম্বন করে লম্পট প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হোসেন খান।

পরে বানিয়াচং উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবরে এই কু-কর্মের জন্য একটি লিখিত ভাবে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। 

অভিযোগে সূত্রে জানা যায়, সকালে বানিয়াচং উপজেলার চৌধুরী পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হোসেন খানের কাছে কোচিং পড়তে যায় ওই স্কুলের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী। এ সময় তার অন্য সহপাঠীরা কোচিং সেন্টারে আসতে একটু বিলম্ব হওয়ায় মোজাম্মেল হোসেন খান ছাত্রীকে একা পেয়ে তার স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেয়াসহ আরো বিভিন্ন ধরণের যৌন হয়রানি করেন।  এক পর্যায়ে ছাত্রী কৌশলে হঠাৎ বই খাতা পেলে
দৌড় দিয়ে কোচিংয়ের পাশে একটি বাড়িতে  গিয়ে আশ্রয় নেয়। সেখান থেকে ছাত্রী তার পিতা-মাতাকে খবর দিলে তারা তাৎক্ষণিক ওই বাড়িতে ছুটে আসেন। তখন ছাত্রীটি তার পিতা-মাতাকে সবকিছু খুলে বলে। 

অভিযোগ পত্রে আরো উল্লেখ করা হয়, ওই লম্পট প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নাকি আগেও এ ধরনের কয়েকটি ঘটনার অভিযোগ রয়েছে। কু-কর্মের বিষয়ে অবগত বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরাও। কিন্তু বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় তীব্রভাবে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে বলে কাউকেই জানানো হয় নি। 

এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল আলম এর সাাথে যোগাযোগ করলে,এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন বলে তিনি জানান।  অভিযুক্ত সেই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গেলে প্রাথমিক সত্যতা রয়েছে। এ সময় তিনি আরো বলেন এ ব্যাপারে উর্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে  প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

হবিগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুর রেজ্জাক বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি বিভাগীয়  উর্ধ্বতন কর্তৃৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে বানিয়াচংঙ্গ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মামুন খন্দকার বলেন, এ ধরনের একটি অভিযোগ পাওয়ার পর আমি নিজে  ভিকটিমের বাড়িতে গিয়ে তার বক্তব্য গ্রহণ করেছি। 
কিন্তু যে অভিযুক্ত সেই শিক্ষকেই ঘটনার পর থেকেই খোঁজ খবর পাওয়া যাচ্ছে না। সে হয়তো পলাতক রয়েছেন। যে কারণে তার কোনো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। 
ঘটনাটির তদন্ত করে অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

No comments: