![]() |
| চট্টগ্রামে দুর্ধর্ষ চুরির রহস্য উন্মোচন: ডিবি অভিযানে চোরচক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার |
মো. নাজমুল হোসেন ইমন, স্টাফ রিপোর্টার:
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি-পশ্চিম) এর বিশেষ অভিযানে কোতোয়ালী থানাধীন আসকারদিঘীর পূর্বপাড়া এলাকায় সংঘটিত আলোচিত দুর্র্ধষ চুরির ঘটনায় একটি সংঘবদ্ধ চোরচক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযানে চোরাই একটি ল্যাপটপ, চোরাই স্বর্ণ বিক্রির টাকায় কেনা একটি মোটরসাইকেল এবং নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৫ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে কোতোয়ালী থানাধীন আসকারদিঘীর পূর্বপাড়ার কাঁচাবাজার গলির রিচ নাহার বিল্ডিংয়ের সপ্তম তলার একটি বাসায় সংঘটিত হয় এই চুরির ঘটনা। অজ্ঞাতনামা চোরেরা ওই বাসা থেকে প্রায় ২০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা ও একটি ল্যাপটপ চুরি করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পূরবী বিশ্বাস বাদী হয়ে ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে কোতোয়ালী থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেন। এজাহারের ভিত্তিতে কোতোয়ালী থানার মামলা নম্বর-২৬ (ধারা ৪৫৪/৩৮০ পেনাল কোড) রুজু করা হয়।
মামলা দায়েরের পর ডিবি (পশ্চিম) বিভাগের একটি চৌকস দল ছায়াতদন্ত শুরু করে। তদন্তের অংশ হিসেবে ঘটনাস্থল ও আশপাশ এলাকার বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হয়। এতে ৩ থেকে ৪ জন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে ঘটনাস্থলের আশপাশে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়।
তথ্যপ্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান চালানো হয়। অভিযানের একপর্যায়ে টাইগারপাস এলাকা থেকে চোরচক্রের সদস্য মো. জসিম (৪৩) ও মোস্তাকিন হোসেন মিঠু (৪২)-কে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, চুরির মূল পরিকল্পনাকারী ছিল তাদের সহযোগী মো. সালাউদ্দিন।
জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে মো. জসিমের কাছ থেকে চোরাই একটি ঐচ ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একই দিন রাতে আনোয়ারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোরচক্রের আরেক সদস্য সেতু দাস প্রকাশ সালাহ উদ্দিন (৩২)-কে গ্রেফতার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে সালাহ উদ্দিন চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জানান, চোরাই স্বর্ণ বিক্রির টাকা দিয়ে তিনি একটি নতুন জড়ুধষ ঊহভরবষফ মোটরসাইকেল কিনেছেন এবং কিছু নগদ অর্থ নিজের কাছে রেখেছেন। তার দেওয়া তথ্যে পুলিশ একটি মোটরসাইকেল ও নগদ ৬০ হাজার টাকা উদ্ধার করে।
তিনি আরও জানান, স্বর্ণ বিক্রির সময় তার সঙ্গে ছিলেন মো. ইসমাইল (৩০)। পরবর্তীতে নিউমার্কেট এলাকা থেকে মো. ইসমাইলকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী টেরিবাজার এলাকার একটি স্বর্ণের দোকানে অভিযান চালানো হলে দোকানদার পুলিশ উপস্থিতি টের পেয়ে দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যায়।
পলাতক দোকানদারকে গ্রেফতার এবং চোরাই স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

