মির্জাপুরে জ্বাল পরচা তৈরি করে ওয়ারিশানদের ভূমি আত্মসাতের চেষ্টা - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

শিরোনাম

Sunday, May 12, 2019

মির্জাপুরে জ্বাল পরচা তৈরি করে ওয়ারিশানদের ভূমি আত্মসাতের চেষ্টা

জাহাঙ্গীর আলম, টাঙ্গাইল 
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে জ্বাল পর্চা তৈরি করে ওয়ারিশানদের ভূমি আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার গোড়াই এলাকায় আবু আহাদ খান পিন্টু ও মৃত মহব্বত হোসেন খানের চার বোনের ওয়ারিশভূক্ত ভূমির জ¦াল পর্চা তৈরি করে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মির্জাপুরের নিকট খারিজের আবেদন করলে বিষয়টি ওয়ারিশানদের নজরে আসে। পরে চার বোনের পক্ষে নাছরিন খানম এনি বাদী হয়ে টাঙ্গাইলের সিনিঃ জুডিঃ ম্যাজিঃ মির্জাপুর আমলী আদালতে জ¦াল পর্চার বিরুদ্ধে আব্দুল কাদের খানের ছেলে আবু আহাদ খান পিন্টু (৫৪), মৃত দুখাই শেকের ছেলে মো. আজগর আলী (৫১), মৃত রমেজ উদ্দিনের ছেলে মজনু (৪০), মৃত মহব্বত খানের ছেলে উথান খান (২৬) এবং আজমীর খান(২৩) কে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। আদালত মির্জাপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। 
গোড়াই মৌজার ৪.১২ একর ভূমির নিজেদের নামে খারিজ(মিউটেশন) করে খাজনা দিয়েও দখল পাচ্ছেন না চার ওয়ারিশানরা। উপরন্তু ওই ভূমি থেকে প্রতিপক্ষের লোকজন মূল্যবান গাছ-গাছরা কেটে নিচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। 
জানা গেছে, মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই গ্রামের মরহুম আব্দুল কাদের খানের দুই ছেলে মৃত মহব্বত হোসেন খান ও আবু আহাদ খান এবং চার মেয়ে এনি খানম, এলি খানম, বেলি খানম ও মেরি খানম। এর মধ্যে মহব্বত হোসেন খান ও আবু আহাদ খান তাদের অংশের সম্পত্তি প্রায় সর্বাংশ (বাড়ি ব্যতিত) অন্যত্র বিক্রি করে দেয়। তাদের চার বোন ওয়ারিশ হিসেবে গোড়াই মৌজার খতিয়ান-৮৪৪৯(ভিপি-১৯৭১), জেএলনং-১৮২ এর ৭টি দাগের(নং-৮১১৩, ৪৩৬৮, ৪৩৬৯, ৪৩৭৪, ৪৩৭৬, ৪৩৭৮ ও ৪৩৮৫) মোট ৪.১২ একর ভূমি নিজেদের নামে খারিজ(নাম জারি বা মিউটেশন) ও যথারীতি খাজনা পরিশোধ করে আসছেন। কিন্তু তাদের দুই ভাই মৃত মহব্বত হোসেন খান ও আবু আহাদ খান সঠিক তথ্য গোপণ করে পিতার সম্পত্তির সিংহভাগ অন্যত্র বিক্রি করে দিয়েছেন। বিক্রিত ভূমির মধ্যে ওয়ারিশান চার বোনের উল্লেখিত ভূমিও রয়েছে। চার বোনের ওয়ারিশ হিসেবে পাওয়া ৪.১২ একর ভূমিতে বাঁশঝাড়, আম, জাম, কাঁঠাল, নিম সহ বিভিন্ন প্রজাতির মূল্যবান গাছ রয়েছে। ওয়ারিশ হিসেবে ওই সম্পত্তির মালিকানা চার বোনের হলেও মৃত মহব্বত হোসেন খানের ছেলে উথান খান ও আবু আহাদ খান একটি নকল পর্চা তৈরি করে ওই সম্পত্তি নিজেদের দাবি করে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে একটি দরখাস্ত দেয়। ওই দরখাস্তের পরিপ্রেক্ষিতে উথান খান ও আবু আহাদ খান স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় ওয়ারিশান বোনদের ভূমির মূল্যবান গাছ কেটে বিক্রি করছেন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী এনি খানম বলেন, উক্ত ভূমির পুরাতন ১৬৬৫ হাল ৮১১৩ নং দাগে আদালত হইতে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দিলেও গোড়াই মৌজার ডিপি ১৯৭০ নং খতিয়ানের জ¦াল পর্চা সৃষ্টি করে আমাদের ডিপি ১৯৭১ নং খতিয়ানের কতিপয় দাগ উল্লেখ করে মির্জাপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি)’র নিকট খারিজের আবেদন করে আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি করেছে।

No comments: