প্রশাসনের হস্তক্ষেপে চরভদ্রাসনে মন্দির পুনঃস্থাপন - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

সোমবার, আগস্ট ২৬, ২০১৯

প্রশাসনের হস্তক্ষেপে চরভদ্রাসনে মন্দির পুনঃস্থাপন


মোঃ লিয়াকত আলী (লাভলু), চরভদ্রাসন প্রতিনিধি :                                                
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা গ্রামে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে মন্দির পুনঃস্থাপন শুরু হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফারজানা নাসরিন এর উপস্থিতিতে উক্ত মন্দিরের পুনঃস্থাপনের কাজ শুরু হয়।

 
জানা যায়, মাথাভাঙ্গা গ্রামে গত ১২ বছর আগে এলাকার সনাতন ধর্মাম্বলীদের পুজা, প্রার্থনা করার জন্য শংকর চন্দ্র মন্ডলের তিন শতক জায়গার মধ্যে একটি সর্বজনীয় দুর্গা পূজা মন্দির তৈরি করা হয়। মন্দিরটিতে প্রতি বছর স্থানীয় সহ বিভিন্ন দুর-দুরান্তের হিন্দু ধর্মাম্বলীরা এখানে পুজা, প্রার্থনা, গান, বাজনা সহ নানা ধরনের ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছে।
 
কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে শংকর চন্দ্র মন্ডলের প্রতিবেশি সুরেশ মন্ডল মন্দিরের জায়গা নিজ জায়গা দাবি করে একই গ্রামের বাসিন্দা ওমর মৃধা ও কবির মোল্যার কাছে মন্দির সহ সবটুকু জায়গা বিক্রি করে দেয়। পরবর্তিতে সে মন্দিরের জায়গা দখল করতে গেলে শংকর চন্দ্র মন্ডল ও সুরেশ মন্ডলের সমথর্কদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে। এতে দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে থানায় ও কোর্টে মামলা করেন। 
 
পরবর্তিতে শংকর চন্দ্র মন্ডল জেলা প্রশাসকের কাছে তার দলিল ও রেকর্ডিয় জমির ওপর মন্দির দাবি করে মন্দির পুনঃস্থাপনের দাবী জানিয়ে মানবন্ধন ও স্মারকলিপি দেন।
 
এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক অতুল সরকার উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফারজানা নাসরিনকে মন্দির অন্য কোথাও স্থানান্তর না করে উক্ত স্থানে মন্দির পুনঃস্থাপন করার নির্দেশ দেন।
 
মন্দির পুনঃস্থাপন করার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্দির কমিটির সভাপতি শংকর চন্দ্র মন্ডল জানান, মন্দিরটি পুনঃস্থাপন করতে পেরে আমি ভীষন খুশি। আমরা সবাই আগের মতো করে এখানে পুজা, প্রর্থনা করতে পারবো বলে তিনি জানান।
 
একই গ্রামের গ্রাম পুলিশ হালিম মোল্যা জানান, আমি এখানে গত বার বছর ধরে এ মন্দিরে এলাকার হিন্দুদের পুজা করতে দেখে আসছি। কিন্তু হটাৎ করে সুরেশ মন্ডলের তার সমস্ত জমি বিক্রি করে ভারত চলে যাচ্ছে কিন্ত মন্দিরের জায়গা তো তার নয় সুরেশ মন্ডল কেন যে ঝামেলা লাগলো আমি বুঝতে পারছি না বলে তিনি জানান।
 
উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফারজানা নাসরিন জানান, আমি উক্ত মন্দিরের বিষয়ে তদন্ত রিপোর্ট জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে কোর্টে দেওয়ানি মামলা চলমান থাকায় আমরা ডিসি স্যারের নির্দেশে মন্দির পুনঃস্থাপন করার কাজ শুরু করেছি। 

Post Top Ad

Responsive Ads Here