নারীর সঙ্গে ‘ওসির আপত্তিকর ভিডিও’ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯

নারীর সঙ্গে ‘ওসির আপত্তিকর ভিডিও’


সময় সংবাদ ডেস্কঃ
জামালপুরে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) পর এবার কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু শামা মো. ইকবাল হায়াতের সঙ্গে এক নারীর আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।

তবে ওসি আবু শামা মো. ইকবাল হায়াতের দাবি এটি আসল ছবি না। কম্পিউটারে এডিট করে তার ছবির মতো করা হয়েছে।

এ ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে স্থানীয় এক সাংবাদিকসহ ২ জনকে আসামি করে সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে কটিয়াদী থানায় জিডিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দায়েরের পর রাতেই মালার প্রধান আসামি হিমেল এবং কটিয়াদী প্রেসক্লাবের সভাপতি ও বাংলা টিভির কটিয়াদী প্রতিনিধি সৈয়দ মুরসালিন দারাশিকোকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে রাতেই মুচলেকা নিয়ে সাংবাদিক দারাশিকোকে থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয়। হিমেলকে মঙ্গলবার সকালে কোর্ট পুলিশ পরিদর্শকের মাধ্যমে কোর্টে পাঠানো হয়। পরে তাকে জেলে পাঠানো হয়।

এদিকে থানার ওসির সঙ্গে ওই নারীকে জড়িয়ে ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা নিয়ে এলাকার তোলপাড় চলছে। ফেইসবুক আইডিসহ নানাজনের ম্যাসেঞ্জারে ছড়িয়ে পড়েছে অশ্লীল ভিডিওটি। এ ব্যাপারে কটিয়াদী থানার ওসি একটি জিডি করেছেন। বিষয়টি তদন্তের জন্য জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয়ের সূত্র ধরে হিমেলের সঙ্গে ওই নারীর সম্পর্ক গড়ে উঠে। ২০১৬ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত হিমেলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। হিমেল গোপনে তার মোবাইল ফোন থেকে স্বামীর সঙ্গে মেলামেশার কয়েকটি ছবি নিজের মোবাইলে নিয়ে যায়।

পরবর্তীতে সম্পর্ক করতে রাজি না হওয়ায় ২০১৭ সালের শেষের দিকে সাংবাদিক দারাশিকোর সহযোগিতায় হিমেল তার নগ্ন ছবি বিভিন্ন মোবাইলে দিয়ে ভাইরাল করে দেয়।

গত ২৯ আগস্ট হিমেল তার মোবাইলের ইমু আইডি থেকে ওই নারীর এক দেবরের মোবাইলে আপত্তিকর অবস্থার দুটি ছবি পাঠায়। এতে বলা হয়, গত ৯ সেপ্টেম্বর প্রিয়া সুলতানা নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে আমাকেসহ ওসি সাহেবের নামে বিভিন্ন অপবাদ ছড়ানো হয়।

মামলার এক জায়গায় ওই নারী স্বামীর সঙ্গে মেলামেশার ছবির কথা বললেও মামলার আরেক জায়গায় বলেন- ছবির মুখমণ্ডল আমার হলেও শরীর অন্য কারও।

মামলায় ওই নারী ওসির বিষয়ে লিখেন ‘আসামী হিমেল আসামী সৈয়দ মুরছালিন দারাশিকো এবং অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন আসামীর সহায়তায় আমার ছবি কম্পিউটারের মাধ্যমে আকৃতি পরিবর্তন করে আমার পার্শ্বে থাকা ছবিটি ওসি সাহেবের বলিয়া মিথ্যামিথ্যিভাবে প্রচার করিয়া বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ছড়াইয়া তাহার (ওসির) পারিবারিক সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করাসহ ওসি সাহেব একজন সরকারি কর্মচারী হওয়ার কারণে তাহার (ওসির) সুনাম ক্ষুণ্ণ করিয়াছে।’

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে কটিয়াদী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু শামা মো. ইকবাল হায়াত জানান, এ ঘটনায় একজন নারী বাদী হয়ে দুইজনের নামে থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ মামলার প্রধান আসামি হিমেলকে গ্রেফতার করেছে। তাকে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, হিমেলের সঙ্গে ওই নারীর দুই বছর সম্পর্ক ছিল। সম্পর্ক খারাপ হয়ে যাওয়ায় সে তার ছবি বিকৃত করে ছড়িয়েছে।

ওই নারীর সঙ্গে থাকা পুরুষের ছবিটি তার নয় উল্লেখ করে ওসি বলেন, আমাকে এসবের সঙ্গে কেন জাড়ানো হচ্ছে। এর পেছনে কারা কাজ করছে সেটি তদন্তের পরই জানা যাবে।

মামলার দ্বিতীয় আসামি সাংবাদিক সৈয়দ মুরছালিন দারাশিকোকে রাতে বাড়ি থেকে আটক করে এনে আবার থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হলো কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি আবু শামা মো. ইকবাল হায়াত বলেন, আসলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কোনো আসামি অপরাধের সঙ্গে জড়িত কি-না সেটা নিশ্চিত হয়েই তাকে গ্রেফতার করতে হয়। সাংবাদিক দারাশিকোকে গ্রেফতার করা হয়নি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ বলেন, তদন্তের স্বচ্ছতার স্বার্থে কটিয়াদী মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলাটির তদন্ত ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। ভিডিওটিও আমরা বিশ্লেষণ করে দেখছি। তদন্তের মাধ্যমে সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে।

Post Top Ad

Responsive Ads Here