জিম্বাবুয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবের মৃত্যু - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৯

জিম্বাবুয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবের মৃত্যু


সময় সংবাদ ডেস্ক-
আফ্রিকার দেশ জিম্বাবুয়ের প্রথম নেতা রবার্ট মুগাবে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
তার পরিবারের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, ৯৫ বছর মুগাবের স্বাস্থ্যের অবস্থা বেশ কিছুদিন ধরেই ভালো যাচ্ছিল না। গত এপ্রিল থেকে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে তিনি ভর্তি ছিলেন। শুক্রবার সকালে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।জিম্বাবুয়ে ১৯৮০ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীন হওয়ার পর টানা ৩৭ বছর দেশটির দণ্ডমুণ্ডের কর্তা ছিলেন মুগাবে। ২০১৭ সালের নভেম্বরে এক সামরিক অভ্যুত্থানে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে তাকে উৎখাত করা হয়।মুগাবের মৃত্যুর খবর জানিয়ে তার উত্তরসূরি এমারসন এমনানগাগোয়া এক টুইটে লিখেছেন, “গভীর শোকের সঙ্গে জিম্বাবুয়ের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবের মৃত্যুসংবাদ আমাকে জানাতে হচ্ছে।”জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট এমনানগাগোয়ার ভাষায়, “মুগাবে ছিলেন আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতীক, প্যান-আফ্রিকা মতবাদের একজন সমর্থক, যিনি তার জীবন উৎসের্গ করেছিলেন জনগণের মুক্তি আর ক্ষমতায়নের জন্য।”জিম্বাবুয়ের শ্বেতাঙ্গ সংখ্যালঘু শাসনের অবসান ঘটানো মুগাবে তার দেশে অনেকের কাছেই একজন মহানায়ক। কৃষ্ণাঙ্গ জনগোষ্ঠীর জন্য শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবার সুযোগ বাড়িয়ে শুরুর দিকে তিনি পুরো বিশ্বেই প্রশংসা পেয়েছিলেন।কিন্তু পরে তার ভূমি সংস্কার কার্যক্রম ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়, অর্থনীতি ভেঙে পড়ে। ধীরে ধীরে তার নামের সঙ্গে জড়িয়ে যায় মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতির নানা অভিযোগ।পশ্চিমা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে মুগাবেকে চিত্রিত করা হয় আফ্রিকার একজন স্বৈরশাসক হিসেবে, যিনি নিজের ক্ষমতা টেকাতে দেশকে ধ্বংসের প্রান্তে নিয়ে গিয়েছেন।
নায়ক থেকে খলনায়ক
১৯২৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রবার্ট মুগাবের যখন জন্ম হয়, জিম্বাবুয়ের নাম তখন রোডেশিয়া। এক সময়ের এই ব্রিটিশ কলোনিতে তখনও সংখ্যালঘু শ্বেতাঙ্গদের শাসন চলছে।
রোডেশিয়া সরকারের সমালোচনা করায় এক দশকের বেশি সময় বিনা বিচারে বন্দি থাকতে হয় মুগাবেকে। ১৯৭৩ সালে কারাগারে থাকা অবস্থায় জিম্বাবুয়ে আফ্রিকান ন্যাশনাল ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট হন মুগাবে।
কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর মুগাবে চলে যান মোজাম্বিকে। সেখান থেকে রোডেশিয়া সরকারের বিরুদ্ধে শুরু করেন গেরিলা যুদ্ধ। সেই সঙ্গে চলে আলোচনা।
আর সেই আলোচনার পথ ধরেই জন্ম নেয় নতুন রাষ্ট্র রিপাবলিক অব জিম্বাবুয়ে। স্বাধীনতার একজন যোদ্ধা হিসাবে বীরোচিত সম্মান পান মুগাবে। জিম্বাবুয়ের ‘নেলসন ম্যান্ডেলা’ আখ্যা পান তিনি।স্বাধীন জিম্বাবুয়ের প্রথম নির্বাচনে মুগাবের বিপুল বিজয় হয়। ১৯৮০ সালে তিনি জন দেশটির প্রথম প্রধানমন্ত্রী। পরে ১৯৮৭ সালে তিনি প্রেসিডেন্ট শাসিত রাষ্ট্রব্যবস্থা চালু করে নিজে সেই পদে বসেন।১৯৮১ সালে মুগাবে নোবেল শান্তি পুরষ্কারের জন্যও মনোনীত হয়েছিলেন। প্রতিবেশী দক্ষিণ আফ্রিকায় ১৯৯৪ সালে তিনি জাতিগত বিদ্বেষ অবসানের অন্যতম দৃঢ় সমর্থক ছিলেন।জিম্বাবুয়ে ও ব্রিটেনের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নে অবদানের জন্য নাইট উপাধিতেও ভূষিত হয়েছিলেন মুগাবে। ১৯৯৪ সালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ তাকে নাইটহুড দেন।

Post Top Ad

Responsive Ads Here