ফরিদপুর প্রতিনিধি :
তোমার আঁচলে রাখি আমারে/তোমার স্নেহের পরশ মেখে/ছুটি বিশ্ব আঙিনায়-আঙিনায়/ জননী তোমারে রাখি অন্তরায়.... দেশাত্ব বোধ আর জাতি সত্তার প্রেম সকল মানুষকেই ব্যাকুল করে। আঞ্চলিকতা আর নিজের জন্মভূমির বৈশিক মায়ার অনুভূতি কেমন তা কেবল স্ব স্ব ক্ষেত্রে স্বাদ আস্বাধিত ব্যক্তিরাই জানে।
বাংলাদের মধ্যে খানে অবস্থিত নানা ঐতিহ্যের ফরিদপুর আজ স্ব প্রতিভায় জাগ্রত। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সমৃদ্ধা বাংলাদেশের সফল রাষ্ট্র নায়ক শেখ হাসিনা, কবি জসীম উদ্দিন, সুকান্ত ভট্টাচার্জ, হুমায়ূন কবির, কানাইলাল শীল, বানি কান্ত, হাজী শরীয়তুল্লাহ, প্রভু জগত বন্ধু সুন্দর, কালি দাস কর্মকারসহ অসংখ্য রাজনৈতিক, কবি দার্শনিকের জন্ম ধন্য বৃহত্তর ফরিদপুর। এই জেলার বুক থেকে উঠে এসেই আলোকিত সব জ্যোর্তিময় ব্যক্তিত্বরা সারা বিশ্বে এ জেলার নাম উজ্জ্বল করেছে।
নানা রাজনৈতিক বৈষম্যে ফরিদপুর ছিল বঞ্চিত জনপদ। রাষ্ট্র ক্ষমতায় আওয়ামীলীগ আসার পর সারা দেশের মতো ফরিদপুর কেউ গড়ে তোলেন একটি পরিকল্পনা অনুযায়ী পদ্মা বিভাগ আর ফরিদপুর সদর সিটি কর্পোরেশনে উন্নতি গণ মানুষের প্রাণে আনন্দ স্রোতের বান এনেছে।
সোমবার ফরিদপুর সদরের আওয়ামীলীগ, অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্থরের মানুষ সকাল থেকে শহর তলীর বদরপুরস্থ আফসানা মঞ্জিলে জর হতে থাকে। হাজারো মানুষ আফসানা মঞ্জিলের আলোকিত সুশোভাসিত পুষ্প ফরিদপুরের উন্নয়নের বাতি ঘর স্থানীয় সংসদ ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এমপিকে অভিবাদন জানাতে থাকেন। বিকেল ৫টায় ফরিদপুর শহরের থানা রোডস্থ জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয় চত্তরে হাজার হাজার মানুষ আর দলীয় নেতাকর্মীরা আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠে। একে অপরের গালিচায় রঙিন আবির মেখে ঢাক, ঢোল, সানাইয়ের তালে তালে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জয় শেখ হাসিনা, জয় মোশাররফ ভাই বলে স্লোগান দিয়ে আঁতশ বাজি উড়িয়ে উৎসব করে।
এরপর সেখান থেকে একটি বণাঢ্য আনন্দ র্যালি বের হয়ে মুজিব সড়ক দিয়ে প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের চত্তরে গিয়ে শেষ হয়।
এ কর্মসূচিতে ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের নেতা এ্যাডভোকেট অনিমেষ রায়, নজরুল ইসলাম, সাহেব সরোয়ার, এ্যাডভোকেট জাহিদ ব্যাপারী, শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী, জেলা যুবলীগের আহŸায়ক এ.এইচ.এম ফুয়াদ, যুগ্ম আহŸায়ক এ্যাডভোকেট স্বপন পাল, ফরিদপুর প্রেস ক্লাব সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ নেতৃবৃন্দ। অন্যদিকে ফরিদপুর শহরের অন্যতম বাণিজ্যিক কেন্দ্র হাজী শরীয়তুল্লাহ বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি ও ব্যবসায়ীরা একটি আনন্দ মিছিল বের করে সেখানে ছিলেন বাজারের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বজলুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম মোল্যা, কোষাধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান লাবলু, লাইন সেক্রেটারী সতিশ সরকার, সাবেক সহ-সভাপতি এম.এস মুসাসহ নেতৃবৃন্দ।
ফরিদপুর সিটি কর্পোরেশন ঘোষণার পর গোয়ালচামট ভাঙ্গা রাস্তার মোড়স্থ জেলা অটো টেম্পু ড্রাইভার্স শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে এক আলোচনা সভা করে সংগঠনটি। মোঃ কবির হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি মোঃ হাকিম মিয়া, শ্রমিক সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক লিয়াকত আলী বাবু, সহ সম্পাদক মোঃ রাশেদ মিয়া, কৈজুরী ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম মোল্যাসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।
একই আয়োজনের অংশ হিসেবে ফরিদপুর মোটর ওয়ার্কাস শ্রমিক ইউনিয়ন (১০৫৫) একটি আনন্দ র্যালি বের করে সেখানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি মোঃ জুবায়ের জাকির, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোঃ নাসিরসহ নেতৃবৃন্দ।
এদিকে শর্ত সাপেক্ষের কথা বলা হয়েছে নিকার সভায়। সেখানে ফরিদপুরকে পদ্মা নামের বিভাগের ঘোষনা দেওয়ার পর ফরিদপুর সিটি করপোরেশন হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে শর্ত সাপেক্ষের কথা বলা হয়েছে নিকার সভায়। সেখানে ফরিদপুরকে পদ্মা নামের বিভাগের ঘোষনা দেওয়ার পর ফরিদপুর সিটি করপোরেশন হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment