এ বিদ্যা ছাত্রলীগকে কে শিখিয়েছে! - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

মঙ্গলবার, অক্টোবর ০৮, ২০১৯

এ বিদ্যা ছাত্রলীগকে কে শিখিয়েছে!

সময় সংবাদ ডেস্ক//
যে বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে সমস্ত জাতি তাকিয়ে থাকে যে, এখান থেকে জাতির ভবিষ্যৎ মাথারা বের হবে। সে বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন নৃশংস খুন হওয়া মানা যায় কী? কিন্তু এখন তাই ঘটছে! আমরা মরে করি, শিক্ষা ও সন্ত্রাস একসাথে চলতে পারে না। ফেসবুকে কেউ অশ্লিল বা দেশবিরোধী কোনো পোস্ট দিয়ে থাকলে, তাকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দেয়া যায়। এ বিষয়ে আইসিটি অ্যাক্টে বর্তমানে কঠোর আইনও রয়েছে। শিবির করার জন্য কাউকে মেরে ফেলা কিংবা ভারতের সমালোচনা করলে সেটা অপরাধ হয়ে যায় কী? এই বিদ্যা ছাত্রলীগকে কে দিয়েছে; কে শিখিয়েছে? দেশকে ভালবেসে, দেশপ্রেম নিয়ে যে কারো মুক্তচিন্তা থাকতেই পারে। আবরারের ফেসবুক পোস্টটি যারা দেখেছেন তারা বলেছেন, আবরার বাংলাদেশ ও ভারতের সমুদ্র বন্দর নিয়ে লিখেছে, লিখেছে তিস্তা ও পদ্মার পানি না পেয়ে বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের মানুষ মরুভূমির জীবনযাপন বিষয়ে। আবার বর্ষা মৌসুমে ভারত যখন ফারাক্কার বাঁধ খুলে দেয় তখন দেশের মানুষ বন্যায় ভাসতে থাকে। ওইদিকে ভারতকে ফেনী নদীর পানি দেয়া, ইত্যাদি বিষয় নিয়ে লিখেছে। একথাতো ঠিক যে, ভারত আন্তর্জাতিক আইন, বিধি-বিধানকে তোয়াক্কা না করে উপরোক্ত বিষয়গুলোকে নিয়ে বরাবরই বাংলাদেশের উপর অবিচার করছে। বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে, মেধাবী ছাত্র হিসেবে, আবরার এর প্রতিবাদ করতেই পারে। আজকে ভারতের সমালোচনা করলে তাকে পিটিয়ে মেরে শিবির আখ্যা দেয়ার তালিম ছাত্রলীগকে কে দিয়েছে?

একজন মানুষকে তার আদর্শিক পরিচয়ের কারণে মেরে ফেলা যায় না। আবরারের পরিবার বলেছে, তাদের পুরো পরিবার আওয়ামী লীগের সমর্থক, তবে বুয়েটে ভর্তির পর দুই-তিনবার আবরার তাবলিগে গিয়েছিলো। আবার যদি শিবিরও করে, আর শিবির করা যদি অপরাধ হয়, তাহলে দেশে আইন আছে। একজন মানুষ সে যেকোনো আদর্শেরই হোক না কেনÑ আস্তিক, নাস্তিক বা শিবির, তাই বলে তাকে হত্যা করা বৈধ হতে পারে কী?

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকা-ের ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েট। এ হত্যাকা-ের প্রতিবাদে ইতোমধ্যে বিক্ষোভ শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা। ঢাকার বাইরেও এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ছে দ্রুত। হত্যাকা-ের প্রতিবাদ জানিয়ে এরই মধ্যে কর্মসূচি পালন করেছে রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগর ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ফলে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো আবারো অশান্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে অধিকারের কথা বলা অন্যায় নয়। শুধু ফেসবুক স্ট্যাটাস দেয়ার কারণে হত্যার মতো ঘটনা ঘটতে পারে তা অবিশ্বাস্য। আমরা মনে করি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত হবে জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা।

Post Top Ad

Responsive Ads Here