মেসি ভক্ত নোয়াখালীর শহিদুলের কাণ্ড - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯

মেসি ভক্ত নোয়াখালীর শহিদুলের কাণ্ড


সময় সংবাদ ডেস্ক//
শহিদুল কবিরের জন্ম নোয়াখালীতে। বর্তমানে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের বাসিন্দা। বার্সেলোনা ও দলটির অধিনায়ক লিওনেল মেসির অন্ধভক্ত তিনি। সম্প্রতি স্ত্রীকে নিয়ে ফ্রান্স থেকে স্পেনে উড়ে যান। লক্ষ্য প্রিয় তারকা মেসির দর্শন। গ্যালারিতে বসে খেলা দেখেছেন। সঙ্গে ন্যু ক্যাম্পের পিচে নেমেও শখ মিটিয়েছেন। সবকিছুর ঊর্ধ্বে ছয়বারের ব্যালন ডি’অর জয়ীর বাসভবন খুঁজে বের করেছেন এই তরুণ।

দীর্ঘদিন ধরে বার্সার খেলার খোঁজ খবর রাখেন শহিদুল। ৮ ডিসেম্বর লা লিগার ম্যাচে মালোরকার বিপক্ষে প্রিয় দল নামার আগের দিন স্পেনের উপকূলীয় এই শহরে এসে পৌঁছান তিনি।

সুযোগ বুঝে প্রথমেই চলে যান বার্সার ঘরের মাঠ নু ক্যাম্পে। পুরো স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেন।

পরদিন ম্যাচ ডে। সদ্যই রেকর্ড ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়ে মাঠে ফিরেছেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড মেসি। এমন মাহেন্দ্রক্ষণে হাজারো দর্শকের সঙ্গে উপস্থিত শহিদুল। 

ম্যাচ শুরুর আগে মেসির তিন সন্তান থিয়াগো, মাতেও ও সিরো আসলো ব্যালন ডি’র পদকটি নিয়ে। সেটি উঁচিয়ে ধরলেন গেল মৌসুমের বিশ্ব সেরা ফুটবলার।


ন্যু ক্যাম্পের পিচে শহিদুল
শুরু হলো ম্যাচ। ঘরের মাঠে দাপট দেখানো শুরু করল স্বাগতিকরা। মেসি তুলে নিলেন হ্যাটট্রিক। শহিদুলের কাছে যেনো ‘মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি’র মতো অবস্থা। ব্লাউগ্রানারা জয় পেলো ৫-১ গোলে। স্বস্তি নিয়ে ফিরলেন মাঠ থেকে।

পরের দিন সোমবার প্যারিস ফেরার পালা। ঘুম থেকে উঠেই বেরিয়ে পড়েছেন। এখনও তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে পারেননি নোয়াখালীর শহিদুল।

বার্সার প্রাণভোমরার বাস ভবনে যেতে হবে তাকে। কিন্তু গুগল ইউটিউবে কোথাও নেই সেই ঠিকানা। বাংলাদেশের এই ফুটবল ভক্ত এতটুকুই জানেন ক্যাসেলডিফলেস এলাকায় পরিবার নিয়ে বাস করেন লিও মেসি। গুগল থেকে নেয়া ছবি নিয়ে চিরুনি অভিযান চালাচ্ছেন তিনি।

নিজ ফেসবুকে শহিদুল পোস্ট করেন বলেন, ‘বিচের পাশে বাস থেকে নামার পর পাহাড়ের আঁকা বাঁকা রাস্তা বেয়ে উপরে উঠা শুরু করলাম। তার (মেসি) বাড়ি বের করতে কেমন কষ্ট হয়েছে তা বোঝানো যাবেনা।

হাল যখন ছেড়ে দিচ্ছিলাম তখন বৌ বলে উঠলো “দেখো এই বাসায় স্টেডিয়ামের লাইটের মতো দেখা যায়”। চোখে ভেসে উঠলো মেসির বাড়ির মাঠ। এইতো এটাই মেসির বাড়ি। আমার খুশি দেখে কে।

৪৫ মিনিট খাড়া পথে হাঁটার পর দম আসছিলো আর যাচ্ছিলো। মেসির বাড়ির আসে পাশে যতো সিসিটিভি ক্যামেরা দেখলাম, আমাদের পুরা বাংলাদেশে হয়তো এর চেয়ে কয়েকটা বেশি হবে। গেটের সামনে গিয়ে দাঁড়ানোর সাথে সাথেই গেইট খুলে গেলো। 


মেসি ভক্ত নোয়াখালীর শহিদুল
গার্ড বের হয়ে এসে বললো “হোলা” এরপর স্প্যানিশ ভাষায় যা বললো তাতে বুঝলাম এখানে দাঁড়ানো যাবেনা। আমি জানতে চাইলাম এইটা কি মেসির বাড়ি? সে বললো হ্যাঁ এইটা। বললাম ছবি তুলে চলে যাবো।

সাধারণত ছবি তুলতে দেয়না কিন্তু আমি ইংলিশে কথা বলায় বুঝেছে আমি অন্য কোথাও থেকে এসেছি তাই বললো “ওকে একটা ছবি”।
হাসি মুখে ধন্যবাদ জানালাম আর মনে মনে বললাম, আমার ভাই (মেসি) যদি জানে তুই আমারে এমনে ভাগায়ে দিছস তাইলে তোর চাকরি যাবে।’

নিজের ইচ্ছা পূরণ হওয়ায় ব্যাপক খুশি বাংলাদেশের এই তরুণ।

তার মতে, ‘অনেকের কাছে এসব হাসির কাজ, পাগলামি কিন্তু আমার কাছে এসব হচ্ছে স্বপ্ন পূরণ করা আর যেটা সবার পক্ষে সম্ভব হয় না।’

Post Top Ad

Responsive Ads Here