হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর বিদায় হজ্বের ভাষণ মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সনদ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯

হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর বিদায় হজ্বের ভাষণ মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সনদ



কুতুব উদ্দিন রাজু,চট্টগ্রাম :
 হযরত মুহাম্মদ (সা:) বিদায় হজ্বের ভাষণে মানবাধিকারের পূর্ণাঙ্গ, চিরন্তন রূপরেখা মানবজাতির সামনে পেশ করেছেন। দিশেহারা, দিগভ্রান্ত, অসহায় নির্যাতিত-নিপীড়িত মানবজাতির মুক্তিকল্পে তিনি সকল ‘মানুষ’ কে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করে এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন যা পৃথিবীতে কখনও হয়নি এবং হবে বলেও আর আশা করা যায় না। সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত চিরন্তন জীবন বিধান ইসলামকে তিনি দিশেহারা মানবজাতির সামনে তুলে ধরেন যা আজীবন মানবজাতির কাছে মানব মুক্তির শ্রেষ্ঠ সনদ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। তাই এক কথায় বলা যায় হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর বিদায় হজ্বের ভাষণ মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সনদ। জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি চট্টগ্রাম মহানগরের এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী উপরোক্ত মন্তব্য করেন।

জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি চট্টগ্রাম মহানগরের উদ্যোগে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস ২০১৯ উদ্যাপন উপলক্ষে গতকাল ৯ ডিসেম্বর সোমবার বিকাল ৫টায় নগরীর মোমিন রোডস্থ সুপ্রভাত স্টুডিও হলে এক আলোচনা সভা ও মানবাধিকার সংগঠক সম্মাননা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ও বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, মহানবী (সা.) পৃথিবীতে এমন সময় আবির্ভূত হন, যে সময় শুধু আরববাসীই নয় গোটা পৃথিবী জনগোষ্ঠীর মধ্যে মানবাধিকারের কোন ধারণাই ছিল না। গোত্রপ্রীতি, অঞ্চলপ্রীতি, সম্প্রদায়প্রীতি এত ব্যাপক ছিল যে মানবিকতা ও জাতীয় ঐক্য সম্প্রীতি ও সদ্বভাবের কোন নমুনাও তাদের কাছে ছিল কল্পনাতীত। মহানবী (সা.) এমন একটি সমাজে আবির্ভূত হয়ে মানবতার চরম অবমাননা দেখে ব্যথিত হলেন এবং উপলব্ধি করলেন যে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধ জাতি গঠন করা। তাই তিনি মাত্র ১৭ বছর বয়সে গঠন করলেন ‘হিলফুল ফুজুল’ নামের মানবাধিকার কমিশন।অনুষ্ঠানে

বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য কফিল উদ্দিন চৌধুরী, ডিজিটাল বাংলাদেশ পাবলিসিটি কাউন্সিলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশ পরিবেশ উন্নয়ন সোসাইটির চেয়ারম্যান এ কে এম আবু ইউসুফ, বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা ও গবেষক সিদ্দিকুল ইসলাম, চান্দগাঁও মডেল স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যাপক সুমন দত্ত। সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের গভর্নর লায়ন সেতারা গফ্ফার, ট্রাস্ট অব হিউম্যান রাইটস বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাসুদা বিলকিছ, অধিকার চট্টগ্রামের ফোকাল পারসন ওচমান জাহাঙ্গীর, ক্যামব্রিজ হাইস্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক এম শামসুদ্দোহা, মানবাধিকার সংগঠক পণ্ডিত অরূপ আচার্য্য, শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শ্রী শচীনন্দন গোস্বামী।

সংগঠনের সহ-সভাপতি ও গৃহায়ন লিঃ এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক প্রকৌশলী মৃণাল কান্তি বড়ুয়ার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক স ম জিয়াউর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, অনুষ্ঠান উদ্যাপন পরিষদের আহ্বায়ক লায়ন এম এ নেওয়াজ, সদস্যসচিব মাওলানা মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সুরেশ দাশ, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোঃ বায়েজিদ ফরায়েজী, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ কালিম শেখ, সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মাসুমা কামাল আঁখি, নির্বাহী সদস্য ও সাবেক ব্যাংকার প্রদ্যুৎ কুমার বড়ুয়া, বিশিষ্ট লেখক ডাঃ বরুণ কুমার আচার্য বলাই, শিক্ষক সুমন চৌধুরী, নারী নেত্রী সৈয়দা শাহানা আরা বেগম, সাংবাদিক সমীরন পাল, আবৃত্তি শিল্পী সোমা মুৎসুদ্দী, শিল্পী হানিফ চৌধুরী, সাংবাদিক ইমরান সোহেল, শিক্ষক রিংকু ভট্টাচার্য প্রমূখ। আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী সংবর্ধিত সংগঠকদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।



Post Top Ad

Responsive Ads Here