ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কানহর পুর গ্রামের শফর আলীর ছেলে সম্রাট শাহাজাহান(১২) কালীগঞ্জ উপজেলার সুন্দুর পুর-দুর্গাপুর ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামের মাদরাসাতু ইমানিশ শাকুর লি-দ্বীনিয়াতিল কারিমিয়া মাদ্রাসার ৫ ম শ্রেণীর আবাসিক ছাত্র।
৩ বছর ধরে সম্রাট শাহাজাহান ঐ মাদ্রাসায় আবাসিক ছাত্র হিসাবে লেখাপড়া করত। স্ম্রাটের বাবা শফর আলী মাঝে মাঝে তার ছেলে কে দেখে আসত। সে পেশায় একজন ভ্যান চালক। কানহর পুর গ্রামের শফর আলী সাংবাদিকদের জানায় যে প্রায় দেড় মাস আগে মাদ্রাসা থেকে লোক জন শাহাজাহান কে খোঁজ করতে আমার বাড়ীতে আসে। তখন আমি বলি যে সে তো আপনাদের মাদ্রাসাতেই আছে । তখন তারা বলে যে তাকে প্রায় দেড় মাস যাবত পাওয়া যাচ্ছে না। শুনে আমি খুব ভেঙ্গে পড়ি কোথায় যাব বুঝতে পারিনা। তখন আবার মাদ্রাসায় যাই এবং সুপার তরিকুল ইসলামের সাথে কথা বলি। তখন সে আমাকে বলে যে পুলিশ কে জানানোর দরকার নেই আমারাই খুজে বের করব। তখন তার সকল বিছানা প্ত্র ফেরত দিয়ে দেয়। তারপর থেকে আজ পযুন্ত কোন যোগাযোগ করেনি। বিছানা প্ত্র ফেরত দেওয়ার সময় আমাদের সকল কে বলে দেয় যে কাউকে জানালে হয় তো আপনার ছেলে কে আর ফেরত পাবে না। তাই ছেলে ফিরে পাওয়ার আশায় কাউকে জানাই নি । তবে আজ প্রায় সাড়ে ৩ মাস হয়ে গেলে আমার বুকের মানিক স্ম্রাট ফিরে এল না। অবশেষ আজ বাধ্য হয়ে আপনাদের জানাচ্ছি আপনারাই আমার ছেলের খোঁজ এনে দিতে পারবেন। এই বলে হাউমাউ করে কেঁদে ফেলল শফর আলী ও তার পরিবারের লোক জন।
এই প্রসঙ্গে ভাটপাড়া গ্রামের মাদরাসাতু ইমানিশ শাকুর লি- দ্বীনিয়াতিল কারিমিয়া মাদ্রাসার সুপার তরিকুল ইসলাম বলে যে গত সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে ভাতপাড়া গ্রামের অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক শহর আলীর বাড়ীতে খাবার খেতে যায়। তারপর সে আর ফিরে আসেনি । আমরা সকল স্থানে খোজা খুঁজি করে পায়নি। এই কথা বলে সে বেহুশ হওয়ার ভান করে। তখন সকলে তাকে ধরা ধরি করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। যার কারনে তার নিকট থেকে বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি।
ঘটনার পরের দিন তার নিকট ০১৬৭৬৩০৩১৩৩ নম্বরে ফোন করলে সে তখন বলে যে ভুল সকলের হয়। দয়া করে আপনারা ঘটনা টা পত্রিকায় দিবেন না। দুই দিন পর আমি আপনাদের সাথে দেখা করছি ।