স্বর্ণপদক পাওয়ার এক বছর না যেতেই ২০ লাখ টাকা আত্মসাৎ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

রবিবার, জানুয়ারী ১২, ২০২০

স্বর্ণপদক পাওয়ার এক বছর না যেতেই ২০ লাখ টাকা আত্মসাৎ

DESK NEWS

স্বর্ণপদক পাওয়ার এক বছর না যেতেই স্বাক্ষর জাল ও ভুয়া ভাউচার দিয়ে সরকারের ২০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার পদুমশহর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তৌহিদুজ্জামান স্বপন।

একইসঙ্গে নিজের মনমতো ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম চালান তিনি। এসব অভিযোগ তুলেছেন একই ইউনিয়নের ১২ জন সদস্য। এ নিয়ে গাইবান্ধার জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তারা। গত বৃহস্পতিবার (০৯ জানুয়ারি) সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে লিখিত এ অভিযোগ দেন ১২ জন ইউপি সদস্য।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, সাঘাটা উপজেলার পদুমশহর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তৌহিদুজ্জামান স্বপন ইউনিয়ন পরিষদের ২০১৮-২০১৯ অর্থবছর এবং ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের টাকা নিজের ইচ্ছামতো খরচ করেছেন। কোনো সদস্যকে না জানিয়ে স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া ভাউচার দিয়ে রেজুলেশন তৈরি করে এডিপি খাতে প্রকল্পের কাজ না করে সরকারের ২০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি। একই সঙ্গে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছর এবং ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে জমির দলিল ফি থেকে ১% টাকা নীতিমালা অনুযায়ী খরচ না করে নিজের ইচ্ছামতো খরচ করেছেন চেয়ারম্যান।

পদুমশহর ইউনিয়নের সদস্য ছাইদুর রহমান বলেন, ইউপি সদস্যদের মতামত না নিয়ে নিজের মনমতো পরিষদের কার্যক্রম চালান চেয়ারম্যান। সরকারি বরাদ্দের চিঠি আমাদের না দেখিয়ে গোপনে কাজ সেরে নেন তিনি। সরকারের নানা কার্যক্রম এবং বরাদ্দ থেকে আমাদের বঞ্চিত করেন চেয়ারম্যান।

ইউপি সদস্য হামিদুল ইসলাম তোতা বলেন, ইউপি সদস্যদের সঙ্গে কোনো ধরনের মিটিং বা আলোচনা ছাড়াই পরিষদের কার্যক্রম চলছে। মনগড়া যা ইচ্ছা তাই করেন চেয়ারম্যান স্বপন। হোল্ডিং কর, ট্রেড লাইসেন্স ফি ও অন্যান্য উৎস থেকে আদায়কৃত টাকা ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে খরচ দেখান তিনি। এককভাবে পরিষদ চালাচ্ছেন চেয়ারম্যান। আমরা আমাদের অধিকার চাই, স্বপন চেয়ারম্যানের বিচার চাই।

ইউপি সদস্য আজাদুল ইসলাম ও মইছ উদ্দিন জানিয়েছেন, যতœ প্রকল্প, জমি আছে ঘর নাই প্রকল্প, মাতৃত্ব ভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ও বিধবা ভাতাসহ অন্যান্য সরকারি প্রকল্পের বরাদ্দ নির্দিষ্ট কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়াই এককভাবে উত্তোলন করেন এবং নিজের মনমতো বণ্টন করেন চেয়ারম্যান। অনেক প্রকল্পের টাকা গোপনে আত্মসাৎ করেন তিনি।


ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক বলেন, সরকারি বরাদ্দের শীতবস্ত্র বণ্টনের কাজ কোনো মেম্বারকে না দিয়ে চেয়ারম্যান স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতি করেছেন। সরকারি শীতবস্ত্র নিজের বাড়িতে রেখে নিজের আত্মীয়-স্বজনের মাঝে কিছু বণ্টন করেছেন আবার কিছু রেখে দিয়েছেন।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে পদুমশহর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তৌহিদুজ্জামান স্বপন বলেন, মোবাইলের নেটওয়ার্ক সমস্যা, কথা শুনতেছি না- বলে ফোন কেটে দেন। এরপর বার বার কল দিলেও রিসিভ করেননি তিনি।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে স্থানীয় সরকারের কার্যক্রম সঠিকভাবে সম্পাদন ও সফলভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য পদুমশহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৌহিদুজ্জামান স্বপনকে স্বর্ণপদক দেয়া হয়। বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ ফোরামের (বিইউপিএফ) পক্ষ থেকে (বিইউপিএফ) এ সম্মাননা দেয়া হয়। পদক পাওয়ার এক বছর না যেতেই তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনলেন ১২ জন ইউপি সদস্য।

Post Top Ad

Responsive Ads Here