জয়পুরহাট দাদন ব্যবসায়ীর ঋণের চাপ সইতে না পেরে যুবকের কিডনি বিক্রি - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

শিরোনাম

Tuesday, January 14, 2020

জয়পুরহাট দাদন ব্যবসায়ীর ঋণের চাপ সইতে না পেরে যুবকের কিডনি বিক্রি


নিরেন দাস(জয়পুরহাট)প্রতিনিধিঃ-

জয়পুরহাটে ঋণের দায়ে দাদন ব্যবসায়ীর চাপ সইতে না পেরে কিডনি বিক্রির ঘটনা ঘটেছে। জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বাঁশখুর গ্রামের সাইফুল ইসলামের পুত্র মোঃ রেজোয়ান (৩৩) নিজের অকাল মৃত্যুর কথা জেনেও অভাবের তাড়নায় ঋণের দায়ে দাদন ব্যবসায়ীর  চাপ সইতে না পেরে নিজের কিডনি বিক্রি করে সুদ সহ দাদনের টাকা ঋণ পরিশোধ করেছেন বলে জানা গেছে।

এমন আলোচিত বিষয়টির খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে বর্তমানে কিডনি বিক্রি করার অপরাধের আতঙ্কেও ভুগছেন যুবক রেজোয়ান  ও তার পরিবারের সদস্যরা।

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পরিবারের সদস্যরা ঘটনাটি ধামা চাপা দিতে দাবি করছেন রেজোয়ান তার একটি কিডনি প্রায় সাড়ে লক্ষ টাকার বিনিময়ে সেচ্ছায় দান করেছেন পরিবারের দাবি।

এমনকি এ ঘটনায় একই গ্রামের হালিম ও অঙ্গাতনামা আর একজন  যুবক তার কিডনি বিক্রি করেছেন বলে এলাকায় আলোচনা-সমালোচনার গুন্জনের খবর পেয়ে বিষয়টির সঠিক তথ্য জানতে সংবাদ কর্মীরা যুবক হালিমের বাড়িতে গেলে তার কোন খোঁজ খবর না পাওয়ায় বক্তব্য ও কিডনি বিক্রয়ের তথ্য জানা সম্ভব হয়নি।

তবুও অনুসন্ধান করতে সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে প্রায় ৮ মাস পূর্বে স্থানীয় কোন এক দাদন ব্যবসায়ীর কাছে নেয়া দাদনের ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে কাজের সন্ধানে রেজোয়ান ঢাকা শহরে চলে গেলে সেখানে নবওয়াত হোসেন নামের এক ব্যক্তির সিকিউরিটি সার্ভিস কোম্পানিতে যোগদান করেন।

ঢাকা বসুন্ধরা এলাকার সোনালী ব্যাংকের কোন এক শাখায় সিকিউরিটি গার্ডের দায়িত্ব ছিল তার কর্মস্থল।

রেজোয়ানের ভাষ্য মতে ঐ চাকুরী করা কালিন সময়ে পরবর্তিতে তার একটি কিডনি দান করলে এর বিনিময়ে কোম্পানির মালিক তাকে প্রায় ৪ লক্ষ্য টাকা দিলে সেই টাকা দিয়ে সে তার ঋণ পরিষোধ করেছেন এবং বর্তমানে সে শারীরিক ভাবে কর্মক্ষম অবস্থায় দিনাতিপাত করছেন।

বিষয়টি নিয়ে অত্র এলাকার জনমনে নানা জল্পনা-কল্পনা ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

উপরোক্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এ সংক্রান্ত এখন পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ আসেনি তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্টাটাস দৃষ্টিগোচর হলে এ বিষয়ে পাঁচবিবি থানা পুলিশ তদন্ত করছেন এবং পরবর্তিতে তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

No comments: