সময় সংবাদ ডেস্ক//
ভারতে গরু নিয়ে নানান ধরনের হইচই চলছে বিগত কয়েক বছর ধরে। হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক দল বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে শুরু হওয়া এই হইচই দিন দিন আরও বাড়ছে।
গো-হত্যা ও গো-রক্ষাকে কেন্দ্র করে গত কয়েক বছরে শতাধিক সংখ্যালঘু মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে ভারতজুড়ে। বিয়োগাত্মক এসব ঘটনার পাশপাশি চলছে গরুজাত পণ্য উদ্ভাবন, বাজারজাতকরণের নানা পদের উদ্যোগ।
সম্প্রতি ভারত সরকার ঘোষণা করে গরুজাত পণ্যের কোনো উদ্যোগ নিলে তাতে সরকার ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ দেবে। সেই ঘোষণা অনেককেই আগ্রহী করে তুলেছে নতুন এই খাতের ব্যবসায়।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট নতুন বছরের প্রথম দিন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতে গরুকে কেন্দ্র করে নতুন নতুন বিভিন্ন ব্যবসা ও উদ্ভাবন নিয়ে।
“ডড়ঁষফ ুড়ঁ ঁংব ধ পড়ি ফঁহম ভধপব ধিংয? ঞযবু ফড় রহ ওহফরধ” শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয় কিভাবে ধীরে ধীরে ভারতের বাজারে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে গরুজাত এমন অনেক পণ্য, যেগুলো এক সময় বানানো যায়- এমনটাই ভাবা যায়নি।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, গোবর থেকে তৈরি সাবান, শ্যাম্পু, ফেইসওয়াশ, এমনকি টুথপেস্টও তৈরি হচ্ছে এবং সেগুলো বিক্রিও হচ্ছে প্রচুর।
এসব পণ্য বিক্রির জন্য নিয়মিত অর্ডার পড়ছে অ্যামজন, ফ্লিপকার্ট বা ই-বে’র মতো বড় বড় অনলাইন শপিং সাইটগুলোতে।
মুম্বাইয়ের ৩৬ বছর বয়সী উমেশ সনি একজন মাইক্রোবায়োলজিস্ট। তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন কাওপ্যাথি নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ২০১২ সাল থেকে তিনি গরুর গোবর দিয়ে নানান পণ্য তৈরি করছেন। এরমধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে সাবান।
আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে গরুর গোবর থেকে তিনি আরও নানান ধরনের পণ্য তৈরি করেন। যেমন, গোবরের শ্যাম্পু, গোবরের টুথপেস্ট। তিনি জানান, প্রথম দিকে মূলত এসব পণ্য তিনি গিফট করতেন। আর এখন ১৪টি দেশের ৪০০ এর বেশি হোলসেল দোকানে তিনি পণ্য পাঠান। বর্তমানে তার কোম্পানির বার্ষিক টার্নওভার আড়াই কোটি রুপির বেশি। সম্প্রতি তিনি গরুর মূত্র প্রক্রিয়াজাত করে তা থেকে কফিও তৈরি করেছেন।