নাচোল ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারী ০৪, ২০২০

নাচোল ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ



প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি 


চাঁপাইনবাবগঞ্জ  প্রতিনিধি  :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায় ৩নং নাচোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস ছালামের বিরুদ্ধে। অভিযোগপত্রে তাঁর বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, মেম্বারদের সম্মানী ভাতা পরিশোধ না করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে সংরক্ষিত আসনসহ ১২ জন ইউপি সদস্য গত সোমবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে জেলা প্রশাসক এ জেড এম নূরুল হকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। একই সঙ্গে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের সচিব, নাচোল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও  উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট দাখিল করেছেন। 
অভিযোগপত্রে জানা গেছে, ইউপি চেয়ারম্যান আবদুস ছালাম স্বেচ্ছাচারী মনোভাব নিয়ে পরিষদের কার্যক্রম চালাচ্ছেন। চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে জয়ী আবদুস ছালাম নির্বাচিত হওয়ার পর পরই তার স্বেচ্ছাচারী আচরনের বহিঃপ্রকাশ ঘটান। তিনি আয়ের সুনির্দিষ্ট উৎস ইউপি সদস্যদের না জানিয়ে এবং কোনোরকম মিটিং ছাড়াই আয়-ব্যয় করছেন। সম্প্রতি সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূতভাবে ৩ জন গ্রামপুলিশ নিয়োগের অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে। ভিজিডি, ভিজিএফের চালও তিনি বিতরণ করছেন ইউপি সদস্যদের বাদ দিয়ে। এছাড়া তার মেয়াদের ১০ মাস যাবৎ ইউপি সদস্যদের পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত সম্মানী ভাতাও তিনি পরিশোধ করছেন না বলে অভিযোগ।
উল্লেখ্য, ইউপি সদস্যদের সম্মানী ভাতা ২৯ মাস বাকি রয়েছে। ইনায়েতুল্লাহ চেয়ারম্যান এর মৃত্যুজনিত কারণে সে সময়ে ১৯ মাস সম্মানী ভাতা পরিশোধ হয়নি।
এদিকে চেয়ারম্যান আবদুস ছালামের স্বেচ্ছাচারিতায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন সব ইউপি সদস্য। নিরুপায় হয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান তারা। ৬ নং ইউপি সদস্য আব্দুল গাফ্ফার বলেন, “ইউনিয়ন পরিষদ কার্যক্রমকে গতিশীল করতে হলে সদস্যদেরও ভূমিকা থাকতে হবে। কিন্তু সম্মানিত চেয়ারম্যান সব সদস্যকে বিরত রেখে স্বেচ্ছাচারীভাবে পরিষদের কার্যক্রম চালাচ্ছেন। যেখানে আমাদের সদস্যদের সাথে তিনি খারাপ আচরণ করছেন সেখানে সাধারণ মানুষ কীরকম সেবা পাচ্ছেন তা বলাই বাহুল্য।”

সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য নাসিমা খাতুন বলেন, “পরিষদে সাধারণ মানুষ আর সেবা পান না। চেয়ারম্যান সাহেব সবার সঙ্গেই খারাপ আচরণ করেন। আর আমরা নির্বাচিত ইউপি সদস্য কিনা তা এখন নিজের কাছেই প্রশ্ন জাগে।” 

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান আবদুস ছালাম জানান, আমার বিরুদ্ধে যে,সব অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যে, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। তিনি আরো বলেন রাজনৈতকি ভাবে ও আসন্ন আ’লীগের কাউন্সিলকে ঘিরে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই এ ধরনের  অভিযোগ দাখিল করেছেন। 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবিহা সুলতানা বলেন, অভিযোগের অনুলিপি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পেয়েছি,তবে এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে এ প্রতিবেদককে জানান। 

Post Top Ad

Responsive Ads Here