ফরিদপুর প্রতিনিধি :
ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা ভাইরাসের ছোবল থেকে জনগনকে রক্ষা
করতে নানা উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। হোম কোয়ারেন্টাইনে না থাকা ব্যক্তিদের
সন্ধান করে তাদের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে। এছাড়া করোনার
অজুহাতে বিভিন্ন দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি করায় অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে
কাজ শুরু করেছে। ইতিমধ্যে হোম কোয়ারেন্টাইনে না থাকা, সামাজিক অনুষ্ঠানের
নামে জনসমাবেশ এবং অসাধু ব্যবসায়ীদের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে অভিযান
পরিচালনা করা হচ্ছে।
এরই মধ্যে জেলায় মোট ৬৫টি মামলা করা হয়েছে। শনিবার
দুপুর পর্যন্ত জরিমানা করা হয়েছে ৪ লাখ ৭০ হাজার ২শ টাকা। জেলা প্রশাসনের
পক্ষ থেকে গত কয়েকদিন ধরে মাইকিং করে জনগনকে সচেতন করা হচ্ছে। শনিবার থেকে
জেলার দুটি যৌন পল্লীকে লক ডাউনের আওতায় আনা হয়েছে। একই সাথে তাদের আবাসন ও
খাদ্যসহ গৃহস্থালী চাহিদা পূরনের ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক
অতুল সরকারের নির্দেশে গত বৃহস্পতিবার শনিবার দুপুর পর্যন্ত জেলা সদরে হোম
কোয়ারেন্টাইনে অবস্থান না করা, সামাজিক অনুষ্ঠানের ছদ্মাবরণে জনসমাবেশ করা,
পণ্যের দাম বৃদ্ধি করার কারনে ভ্রাম্যমান আদালতে ১১ টি মামলা করা হয়।
এছাড়া বোয়ালমারী উপজেলায় ৫ টি মামলা, নগরকান্দায় উপজেলায় ১৫ টি মামলা,
ভাঙ্গা উপজেলায় ১১ টি মামলা, সদরপুরে উপজেলায় ৯ টি মামলা, চরভদ্রাসন
উপজেলায় ১৪ টি মামলা করা হয়। এসব মামলায় মোট ৪ লক্ষ ৭০ হাজার ২ দুইশ টাকা
জরিমানা করা হয়।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার জানিয়েছেন, জেলায় ব্যাপক সংখ্যক লোক
প্রবাস থেকে দেশে এসেছে। প্রতিনিয়ত হোম কোয়ারেন্টাইনে অবস্থানকারীর সংখ্যা
বাড়ছে। ইতিমধ্যে সদর হাসপাতালটিকে করোনা ট্রিটমেন্টের জন্য নির্ধারণ করা
হয়েছে। পাশপাশি আইসিইউ রেডি রয়েছে। এছাড়া সালথা উপজেলায় নবনির্মিত হেলথ
কমপ্লেক্স যেটি রয়েছে, সেটিকে ব্যবহার করার জন্য প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।
এছাড়া উপজেলা পর্যায়ে এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে কাজ চলমান রয়েছে। সবাই মিলে সকল
কিছু স্বাভাবিক রাখতে পারবেন বলে আশা করেন তিনি।
No comments:
Post a Comment