ফরিদপুর প্রতিনিধি :
সারা বিশ্বে আজ আতঙ্কের আরেক নাম করোনা ভাইরাস। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সবচেরে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে সচেতনতার ওপর। কিন্তু এ ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে সম্পূর্ণ নিরাপত্তাহীন ফরিদপুর জেলা কারাগারের কারাবন্দীদের জীবন। তাদের নিরাপত্তার জন্য আদৌ কোনো সতর্কমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি।
জানা যায়, বর্তমানে ফরিদপুর জেলা কারাগারের ধারণ ক্ষমতার অনেক বেশি কারাবন্দী রয়েছেন। কারাগারের মোট ধারণ ক্ষমতা ৭৫০ জন হলেও বর্তমানে কারাগারে হাজতি ও কয়েদি মিলিয়ে মোট ১,১০৫ জন কারাবন্দী রয়েছেন।
দেশের এমন পরিস্থিতিতে জেল খানার আসামী গুলোই আছে সর্বোচ্চ অনিরাপদে। জীবানু নাশক কোনো কিছুই তাদের দেওয়া হয়নি। আর এসব আসামীদের অনেকেরই প্রতিনিয়ত জ্বর, সর্দি, কাশি এইসব নিত্য সঙ্গী। যা কিনা ভাইরাস ছড়ানোর অন্যতম কারন হতে পারে। ফলে সম্পূর্ণ নিরাপত্তাহীন আর অনিশ্চিয়তায় ঝুঁকির মুখে আছে কারাবন্দী আসামীরা। নিরাপদ নয় কারারক্ষীদের জীবনও। বিচার কার্যক্রমও বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। ফলে কোনো আসামীকে কোর্টে তোলা হচ্ছে না। আর জামিন নেওয়ারও কোনো ব্যবস্থা হচ্ছে না।
একদিকে কারাবন্দীদের মধ্যে যেমন আতঙ্ক বিরাজ করছে অপরদিকে ঠিক তেমনই চরম দুশ্চিন্তায় আছেন তাদের স্বজনরা। প্রতিদিনই জেলগেইটে কারাবন্দী আসামীদের নিয়ে তাদের স্বজনদের দুশ্চিন্তার শেষ নেই।
দেশের এমন করুন পরিস্থিতিতে কারাবন্দী এসব আসামীদের পর্যাপ্ত পরিমান নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেওয়ার জন্য এবং অতি দ্রুত বিচার কার্যক্রম চালু করে আইনী প্রক্রিয়ায় যেসব আসামীদের জামিন দেওয়া যায় তাদের জামিন দিয়ে পরিবারকে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান কারাবন্দীদের স্বজনরা।
ফরিদপুর জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক মো. আব্দুর রহিম জানান, দু’জন চিকিৎসক সকাল বিকাল দুই বেলা বন্দিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে যাচ্ছেন। আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত এখানে কারো মধ্যে কোনো করোনার লক্ষণ দেখা যায়নি। আমরা সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় আছি। তবে আরো সতর্কতার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে পারসোন্যাল প্রোটেকটিভ ইকুপমেন্ট (পিপিই) সরবরাহের আবেদন জানিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, তবে আশার কথা হলো অন্য সময়ের তুলনায় বর্তমানে কম সংখ্যক হাজতি জেলে আসছেন। পাশাপাশি মহান স্বাধীনতা দিবসকে সামনে রেখে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কারাবন্দীকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment