রাসেল কবির মুরাদ , কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: পর্যটন নগরী কুয়াকাটাসহ উপকুলীয় এলাকাকাগুলোতে করোনার প্রভাবে ব্যাপক ক্ষতির সম্মূক্ষে পর্যটন ব্যবসায়ী ও সাধারন ব্যবসায়ীরা। ফলে এসব ব্যবসায়ীরা ঘরে বসে মাথায় হাত দিয়ে ঘরে বসে শুধুই ঝিমুচ্ছে। ইতিহাস ঐতিহ্যের দর্শনীয় স্থানসহ পর্যটন স্পটকে ঘিরে দিনদিন পর্যটকদের আকর্ষনের অন্যতম কেন্দ্র বিন্দু হয়ে উঠেছে সাগর কন্যা কুয়াকাটা। নানা কারনে বিগত বছর গুলোর তুলনায় পুরো মৌসুম জুড়েই মন্দাভাব ছিল কুয়াকাটায়। করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে কুয়াকাটা ভ্রমনে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। মৌসুমজুড়ে মন্দা ভাবের পর ভরা মৌসুমের শেষ সময়ে বিশ্ব জুড়ে করোনার এমন মহামারিতে হতাশ ব্যবসায়ীরা। এই অবস্থা বেশি দিন বিরাজ করলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বে পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
১৮ কিলোমিটার সৈকত জুড়ে বিরাজ করছে শুনশান নিরবতা। পর্যটন স্পটগুলোও রয়েছে ফাঁকা। কোথাও কোলাহল নেই পর্যটকের। ইতিমধ্যে পর্যটনমুখী অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্রেতা শূন্যতায় বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে বড় লোকসানের মুখে বলে জানান র্পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।পটুয়াখালী জেলায় শুক্রবার পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টানে আছে ৬৯ জন। এর মধ্যে ০৮ জন কোয়ারেন্টাইন শেষে বাড়ি ফিরে গেছে।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী ও পটুয়াখালী সিভিল সার্জন জাহাংগীর আলম জানিয়েছেন, করোনার প্রাদুর্ভাব থেকে বাচাতে হোটেল-মোটেলসহ সী-বীচের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং পর্যটকদের আগমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।সকল প্রতিকুলতা কাটিয়ে কুয়াকাটায় পর্যটকদের সমাগমে পর্যটন শিল্পে ফিরে আসবে অর্থনৈতিক গতিশীলতা এমন প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
উল্লেখ্য, মৌসুমের শেষভাগে এসে করোনা ভাইরাস সংক্রমন রোধে গত বৃহস্পতিবার সৈকতের সী-বিচে মাইকিং করে কুয়াকাটা এলাকা থেকে নিজ গন্তব্যস্থলে ফিরে যেতে বলে এস আই জামান টুরিষ্ট পুলিশ, এমন নির্দেশনায় গত ২৪ ঘন্টায় পর্যটক শূন্যের কোঠায় নেমে আসে কুয়াকাটা।