কত ভাইরাস আছে পাহাড়ের নিচে উহানের সেই ল্যাবে? - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

মঙ্গলবার, এপ্রিল ২১, ২০২০

কত ভাইরাস আছে পাহাড়ের নিচে উহানের সেই ল্যাবে?


বিশ্বব্যাপী আজ আতঙ্কের নাম করোনাভাইরাস। গোটা বিশ্বে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে এই ভাইরাস। এটি এখন পর্যন্ত ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে থাবা বসিয়েছে। এতে সারাবিশ্বে আক্রান্ত হয়েছে ২৪ লাখ ৭ হাজার ৫শ’ মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৮২ জনের।


প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস কি উহানের ল্যাব থেকেই ছড়িয়ে পড়েছে? গোটা বিশ্বে এখন এটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। এরই মধ্যে উহানের ওই ল্যাব নিয়ে সামনে এল আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সেখানে নাকি এশিয়ার সবচেয়ে বড় ‘ভাইরাস ব্যাংক’ রয়েছে। চীনের একটি ছোট্ট শহর উহান। শহরটির নামের সঙ্গে আমরা অনেকেই হয়তো পরিচিত ছিলাম না, কিন্তু করোনাভাইরাসের উৎস হিসেবে আজ সেই নাম যথেষ্ট পরিচিত।

আমেরিকার দাবি, উহানের ওই ল্যাবরেটরি থেকেই লিক হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে ভাইরাস। উহানের মাছের বাজারের সঙ্গে ভাইরাসের কোনও সম্পর্ক নেই বলেই মনে করছে বহু বিশেষজ্ঞ। আমেরিকা এই বিষয়ে রীতিমত তদন্ত শুরু করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব মাইক পম্পেও জানিয়েছেন, কীভাবে গোটা বিশ্বে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ল তার নিখুঁত তদন্ত করবে আমেরিকা।
কী এই ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি?

চীনের ভাইরাস কালচার কালেকশনের কেন্দ্র এই গবেষণাগার। বলা যেতে পারে এটাই্ এশিয়ার বৃহত্তম ভাইরাস ব্যাংক। যেখানে ১৫ হাজার ধরনের ভাইরাসের নমুনা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। এবোলার মত ভাইরাস নিয়েও গবেষণা করে এরা। যেসব ভাইরাস মানুষ থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াতে পারে, সেরকম ভাইরাস রয়েছে এই গবেষণাগারে।

৪২ মিলিয়ন ডলারে তৈরি করা হয় এই ভাইরোলজি ল্যাবরেটরি। ২০১৫ সালে ল্যাব তৈরির কাজ শেষ হয়। ২০১৮ থেকে এখানে গবেষণার কাজ শুরু হয়। এখানে অবশ্য একটি ল্যাবরেটরি রয়েছে, যা ২০১২ থেকে কাজ শুরু করেছে।

এই গবেষণাগারটি অবস্থিত জঙ্গলে ঘেরা একটি পাহাড়ের তলায়। পাশেই রয়েছে জলাশয়। লোকালয় থেকে দূরে এই গবেষণাগার ৩২ হাজার স্কয়ার ফুট জায়গা জুড়ে রয়েছে। বিল্ডিং-এর বাইরে একটি সতর্কবার্তা লেখা রয়েছে। সেখানে লেখা আছে, ‘শক্তিশালী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে আতঙ্কিত হবেন না, অফিসিয়াল ঘোষণা শুনুন, বিজ্ঞানে বিশ্বাস করুন, গুজব ছড়াবেন না’।

কী বলছে আমেরিকা?

করোনাভাইরাস উহানের ল্যাব থেকেই ছড়িয়েছিল কিনা শুক্রবার সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ‘আমরা এটার দিকে নজর রেখেছি, আরও বহুলোক এর দিকে নজর রেখেছে। এটা ক্রমেই বোঝা যাচ্ছে।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, ‘তারা (চীন) একটি নির্দিষ্ট ধরণের বাদুড়ের কথা বলেছেন, কিন্তু ওই বাদুড় ওই এলাকায় ছিলই না। ওই এলাকায় বাদুড় বিক্রি হয়নি, সেটা বিক্রি হয়েছিল ৪০ মাইল দূরে।’

এর আগের দিনই ফক্স নিউজ জানিয়েছিল, মারাত্মক ভাইরাসটি উহানের একটি ল্যাব থেকে ছড়িয়েছে কিনা সে সম্পর্কে আমেরিকা পুরো জোর দিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে। বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলি পরীক্ষাগারগুলো ও রোগের প্রকোপ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করছে।

ভাইরাসের উৎস প্রসঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘অনেক অদ্ভুত জিনিস ঘটছে, কিন্তু অনেক তদন্তের কাজও চলছে এবং আমরা এটা খুঁজে বের করছি। আমি শুধু এটুকু বলতে পারি, এটা যেখান থেকেই, যে রূপেই আসুক না কেন, তা চীন থেকে এসেছে। আর যার কারণে, বিশ্বের ১৮৪টি দেশ এর ফল ভুগছে।’ সূত্র: আরটিই




সময়/আন্ত/দেশ

Post Top Ad

Responsive Ads Here