ভাঙ্গায় গুলিতে আহত সাজিদের পরিবারে বাড়ছে উদ্বেগ-উৎকন্ঠাঃ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

শিরোনাম

Monday, June 01, 2020

ভাঙ্গায় গুলিতে আহত সাজিদের পরিবারে বাড়ছে উদ্বেগ-উৎকন্ঠাঃ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে

 

মোঃ সরোয়ার হোসেন, ভাঙ্গা(ফরিদপুর)প্রতিনিধি :   
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কালামৃধা ইউনিয়নের দোলকুন্দি গ্রামে গত ২৮ মে লিবিয়ায় গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত যুবক সাজিদ বিলুয়ার  বাড়িতে বাড়ছে চরম উদ্বেগ-উৎকন্ঠা।  এ খবর তাদের বাড়িতে আসার পর থেকে তাদের পরিবার ও আশপাশের প্রতিবেশিরা উদ্বেগ-উৎকন্ঠা নিয়ে ভীড় করছে। এখন ওই যুবক  লিবিয়ার বেনগাজী শহরে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। বাবা বেলায়েত বিলুয়া,মা সাগরী বেগম ছেলে আহত হওয়ার খবরে ভেঙ্গে পড়েছেন। সেই সাথে সাজিদের আহত হওয়ার খবরে  দিশেহারা হয়ে পড়েছে পুরো পরিবার। লিবিয়ায় মানব পাচারকারীদদের গুলিতে নিহত ২৬ বাংলাদেশি ছাড়াও বেশ কয়েকজনের মধ্যে সাজিদ গুলিতে গুরুতর আহত হন।  এখন তারা আহতদের চিকিৎসার  পাশাপাশি সরকারী সহযোগীতা এবং দালাল চক্রের উপযুক্ত বিচার দাবী করছেন।পরিবারের সদস্যরা জানান, দালালের কথা মতো ধারদেনা ও দাদনের মাধ্যমে সাড়ে চার লাখ জোগার করে গত ডিসেম্বর (পাচঁ মাস) মাসে ছেলেকে পাঠিয়েছিলেন বিদেশে।  লিবিয়া থেকে দালালরা ফোন করে ১০ লাখ টাকা দাবি করার পর লিবিয়ার একটি শহরে তাকে আটকে রেখে নির্যাতন শুরু করে। সময়ের সাথে টাকার অংকও বাড়ে এবং অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যায়।এক পর্যায়ে মিজদা শহরের একটি জনাকীর্ণ জায়গায় ২৬ বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করে । সেখান থেকে অন্যন্য আহতরা জীবনপন দৌড়াতে থাকে । দৌড়ে পালিয়ে ভাগ্যক্রমে বেঁেচ যায় সাজিদ। সেখান থেকে জনৈক কয়েক বাংলাদেশীর সহায়তায়  তাকে উদ্বার করে ভর্তি করা হয় বেনগাজীর একটি হাসপাতালে। মোবাইল ফোনে কয়েকজন জানান সে এখনও শংকামুক্ত নন।সেদিনের বর্ননা করে চাচী শিল্পি বেগম জানান,ভাই রাজিব বলেন,লিবিয়ার বেনগাজী শহরে যাওয়ার পর জেলার নগরকান্দা উপজেলার আবু বক্কর,সালাম মিয়ার মাধ্যমে ত্রিপোলী থেকে সাগর পথে ইটালী যাওয়ার জন্য দালালদের সাথে চুক্তিবদ্ব হয়।  সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় পাড়া প্রতিবেশীরা বাড়িতে এসে ভীড় করছে। বাবা বেলায়েত বিলূয়া ও মা সাগরী বেগম অশ্রæসজল চোখে বারবার বলছিলেন সরকার যেন সাহায্য করে এবং দালালদের উপযুক্ত বিচার হয়। পরিবারের সদস্য দাউদ ইসলাম,শিল্পী বেগম বলেন,সে যে এখনও বেঁচে আছে আমাদের সৌভাগ্য। আমাদের সরকারের নিকট আমাদের দাবী সযোগিতার পাশাপাশি মানব পাচারকারীদের বিরুদ্বে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানাচ্ছি।


 এ ব্যাপারে স্থানীয় কালামৃধা ইউ,পি চেয়ারম্যান লিটন মাতুব্বর বলেন, সংঘবদ্ব দালালচক্র এলাকার যুবকদের  প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধভাবে সাগরপথে বিদেশে নিয়ে মূল্যবান প্রানহানি ঘটাচ্ছে। অনিশ্চয়তায় পড়ে মূল্যবান জীবনহানির পাশাপাশি পরিবারগুলো নিঃস¦ হয়ে পড়েছে। এসব দালালচক্রের বিরুদ্বে অভিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করতে হব্ ে। 


ভাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ শফিকুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশের একটি দল পরিবারটির বাড়িতে গিয়ে সার্বিক খোঁজ-খবর নিয়েছে। গতকালও থানার এস,আই সৈয়াদুর রহমান পরিবারটির বাড়িতে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছে। আমাদের পক্ষ থেকে পরিবারটিকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে। অন্যদিকে দালালচক্র যারা ঘটনায় জড়িত তাদের খুঁজে বের করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

No comments: