সময় সংবাদ ডেস্ক//
কুমিল্লার চান্দিনায় করোনাভাইরাসের ভুয়া রিপোর্টসহ সব ধরনের ভুয়া সনদ তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে র্যাব। এ সময় প্রতারণার অভিযোগে মোরশেদ আলম নামে একজনকে গ্রেফতার ও ভুয়া সনদ তৈরিতে ব্যবহৃত কম্পিউটার ও অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতার মোরশেদ আলম দেবিদ্বার উপজেলার জাফরাবাদ গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে।
রোববার দুপুরে জেলার চান্দিনা বাজারের বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজ নামে একটি দোকানের আড়ালে চালানো ওই কারখানায় অভিযান চালায় র্যাব। সেখানে ল্যাব এইড হাসপাতালের নাম ব্যবহার করে করোনাভাইরাস টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট, সব ধরনের পরীক্ষার সনদ, চারিত্রিক সনদ, নকল জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করা হতো।
রোববার বিকেলে র্যাব-১১ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গ্রেফতার মোরশেদ আলম দীর্ঘদিন ধরে অর্থের বিনিময়ে ভুয়া সনদ ও রিপোর্ট তৈরি করছিলেন। সম্প্রতি তিনি রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালের নাম ব্যবহার করে করোনাভাইরাস টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট তৈরি ও বিক্রি শুরু করেন। গোপন তথ্যে অভিযান চালিয়ে মোরশেদ আলমকে গ্রেফতার করে র্যাব। এ সময় একটি সিপিইউ, একটি মনিটর, কালার প্রিন্টার, স্ক্যানার, ইন্টারনেট মডেম, তিনটি পেনড্রাইভ, দুটি মোবাইল, করোনাভাইরাস টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট, জাল সার্টিফিকেট, ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ও টাকা উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১১ এর সিপিসি কুমিল্লার কমান্ডার মেজর তালুকদার নাজমুস সাকিব জানান, গ্রেফতার মোরশেদ আলম এসএসসি, দাখিল, এইচএসসি, অনার্স, মাস্টার্সসহ সব ধরনের পরীক্ষার জাল সার্টিফিকেট তৈরি করতেন। তিনি প্রতারণার মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে বিপুল টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। সম্প্রতি করোনাভাইরাস টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করে প্রতারণা শুরু করেন মোরশেদ। এ ধরনের চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।