৭৮০০ বাংলাদেশিসহ সারা বিশ্বের ১১ লক্ষাধিক শিক্ষার্থীকে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগের নির্দেশ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

মঙ্গলবার, জুলাই ০৭, ২০২০

৭৮০০ বাংলাদেশিসহ সারা বিশ্বের ১১ লক্ষাধিক শিক্ষার্থীকে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগের নির্দেশ


সময় সংবাদ ডেস্ক//
করোনাভাইরাসের আতঙ্কে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটিসমূহে বাংলাদেশের ৭ হাজার ৮০০ ছাত্র-ছাত্রীসহ সারাবিশ্বের ১১ লক্ষাধিক ছাত্র-ছাত্রীকে অবিলম্বে নিজ নিজ দেশে চলে যাবার নির্দেশ জারি হয়েছে।

৬ জুলাইর যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন দফতরের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী ‘ইমিগ্রেশন এ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট’ তথা আইস এ নির্দেশ জারি করেছে। তারা জানিয়েছে, ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট হিসেবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরতরা এ নির্দেশ অমান্য করলে তাদেরকে গ্রেফতারের মুখোমুখি হতে হবে। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী গ্রেফতারের পর সকলকে নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেয়া হবে।

ওই ঘোষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, করোনার কারণে প্রতিটি ইউনিভার্সিটির ক্লাস অনলাইনে করা হবে। তাই সশরীরে ক্লাসে থাকার কোনই প্রয়োজন নেই। আইসের এই পদক্ষেপের ভিকটিম হবেন নিয়মিত ছাত্র-ছাত্রীসহ যারা স্বল্প মেয়াদি ট্রেনিং কোর্স (নন-একাডেমিক অথবা ভকেশনাল) নিতে এসেছেন তারাও।

আসছে সেপ্টেম্বরে শুরু নতুন শিক্ষাবর্ষের ক্লাস অনলাইনে করার কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্রের সকল ইউনিভার্সিটি। চলতি সপ্তাহে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা এ নিয়ে ভার্চুয়াল মিটিংয়ে মিলিত হয়েছেন। করোনার উৎপাত অব্যাহত থাকলে ক্যাম্পাসে কারোর উপস্থিতি স্বাস্থ্যবিধির পরিপূরক হবে না বলেও এসব মিটিংয়ে অভিমত পোষণ করা হয়েছে।

এছাড়া সিডিসির (সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এ্যান্ড প্রিভেনশন) নির্দেশ অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হলে প্রতিটি কক্ষে সর্বোচ্চ ৮ জনকে বসার ব্যবস্থা করা যাবে। অবশিষ্ট ২২/২৩ জন কীভাবে ক্লাস করবেন-এমন প্রসঙ্গও উঠেছে ঐসব নীতি-নির্ধারকদের বৈঠকে। 

প্রসঙ্গত, গত মার্চে যুক্তরাষ্ট্রে করোনার তাণ্ডব শুরুর পর থেকেই সবকিছু লকডাউনে গেছে। জুন পর্যন্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ক্লাস নেয়া হয় অনলাইনে। এমনকি যারা ক্যাম্পাসে অর্থাৎ ডর্মে (আবাসিক হোটেল) ছিলেন, তারাও ক্লাস করেন অনলাইনে। সেপ্টেম্বরে শুরুতে নতুন শিক্ষাবর্ষেও ক্লাসে উপস্থিত হবার মতো পরিস্থিতি তৈরী হচ্ছে বলে কেউই মনে করছেন না। কারণ, গত কয়েক সপ্তাহে ৫০ স্টেটের মধ্যে অন্তত: ৩৬টিতেই উদ্বেগজনক হারে সংক্রমণ বেড়েছে। যে সব সিটি অথবা কাউন্টিতে লকডাউন শিথিল করা হয়েছিল, সেসবে পুনরায় সবকিছু বন্ধ করা হয়েছে। অর্থাৎ এক ধরনের অস্থিরতা পুনরায় জনজীবনকে গ্রাস করতে চলেছে।


Post Top Ad

Responsive Ads Here