বিপুল ঘোষ
আনোয়ার জাহিদ :
ফরিদপুরের রাজপথের একজন ভাল কর্মী আওয়ামীলীগের পরীক্ষিত নেতা বিপুল ঘোষ। কর্মী থেকে তিনি জননেতা ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। তার রাজনৈতিক হাতে খড়ি নেয়া বহু ছাত্রের মুখ আমি দেখেছি এই শহরে।
তিনি আওয়ামী রাজনীতির তৃনমুল পর্যায়ের মানুষদের সাথে মেশা একজন দক্ষ সংগঠক এবং একজন বোদ্ধা অভিবাক। তার তুলনা একমাত্র তিনি নিজেই।
শিশুসুলভ আচরনে যেমন বাস গৃহে পটু। তেমনি রাজপথের পথসভা কি জনসভা কিংবা প্রতিবাদ সভারও তুখোড় বক্তাও তিনি।
তার রাজনীতির ধারাবাহিকতা যেন তালপাতার আর, কয়লায় কালি ঘোলানো কঞ্চির কলমে লেখা, অ,আ,ইঈ,উ,ঊ এবং ক,খ,গ।
এর পর সবুজ সাথী, চয়নিকা আর আমার বই। সেখান থেকে বেড়ে উঠা আজকের প্রবীন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। হয়ে উঠছেন সর্বজন শ্রদ্ধার বিপুল ভাই বা দাদা।
১৯৭৩ সালে বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি , বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের একটানা ১৩ বছরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ।
১৭ বার কারা বরণকারী ত্যাগী আওয়ামী লীগ নেতা। যশোর ও ফরিদপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের সেলে একটানা ৪৭ মাস শারিরীক ও মানষিক ভাবে বিপুল ঘোষ কে নির্যাতন করা হয় ।
এসব জায়গায় তার উপর চলে নির্যাতন| এখানে তাকে কারেন্টের শর্ক পর্যন্ত দেওয়া হয় । বিপুল ঘোষ এমন সেলে থাকতেন সেখানে শীতের দিনে ঠান্ডা বাতাস ঢুকতো, কিন্তু গরমের দিনে কোনো আলো বাতাস ঢুকতো না ।
বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি কর্ণেল ফারুককে ফরিদপুর নামক জনপদ থেকে প্রতিরোধ করা হয় বিপুল ঘোষ ও ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে। তার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ বিরোধী সমাবেশ করতে আসা ড. কামাল হোসেনকে রুখে দেন দলের বিশেষ নির্দেশে।
দলের এই সময়ে তার মতো নেতার মূল্যায়নের আশায় দলের তৃনমূল নেতা কর্মি।
No comments:
Post a Comment