মধুখালীতে বিদ্যালয়ে গোপনে নিয়োগের চেষ্টা, স্বজনপ্রীতি ও অর্থ বাণিজ্য ফাঁস - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

শিরোনাম

Wednesday, July 15, 2020

মধুখালীতে বিদ্যালয়ে গোপনে নিয়োগের চেষ্টা, স্বজনপ্রীতি ও অর্থ বাণিজ্য ফাঁস



ফরিদপুর প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কোরকদি ইউনিয়নের বামুন্দী বালিয়াকান্দী গ্রামে অবস্থিত বামুন্দী বালিয়াকান্দী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং আয়া নিয়োগে স্বজনপ্রীতি ও লক্ষ লক্ষ টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে । 
 

বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি আব্দুল হাকিম মোল্যা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মধুখালী প্রেসক্লাবের  সভাপতি বরাবরে লিখিত অভিযোগ পত্র থেকে জানাগেছে বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ আবু জাফর মোল্যা এবং প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ কুমার বিশ্বাস মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সভাপতির আপন চাচাত ভাই মো. বাচ্চু মোল্যাকে সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং আপন ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে আয়া পদে নিয়োগের চেষ্টা করেন। এ কারনে গোপনে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত ঐ দিনের স্থানীয় পত্রিকা বাজার থেকে হাওয়া করেন। ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক এলাকায় প্রচলিত নয়। স্থানীয় ভাবে কোথায়ও দৃর্শ্যমান স্থানে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রদর্শন করা হয় নাই। চেষ্টা ছিল গোপনে নিয়োগ বাণিজ্য করা। বিদ্যালয়ে এলাকার লোকের চাকরী প্রত্যাশিদের হাতে না যায় প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সব চেষ্টাই করা হয়েছে কিন্ত শেষ রক্ষা হয়নি। বিদ্যালয়ে নিয়োগ বাণিজ্যের তথ্য ফাঁস হলে ফুসে উঠে এলাকার মানুষ। 

পূনঃ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে  সরকারী বিধিমোতাবেক স্বচ্ছ ও যোগ্য একজনকে  বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক ও আয়া নিয়োগ দেওয়া হোক স্থানীয় সুধিজনদের দাবী। 

নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগের বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি  মো.আবু জাফর মোল্যার মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি  অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন এই অভিযোগ সত্য নয়। এ বিষয়ে আমরা একটি সংবাদ সম্মেলন করেছি।
 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ কুমার বিশ্বাস জানান আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে আমি অবগত না। 


উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পারমিস সুলতানার কাছে তার মোবাইলে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি, বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 


মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোস্তফা মনোয়ার জানান, অভিযোগ পেয়েছি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে তদন্ত করা হয়েছে। তদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি  বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

No comments: