বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে দুর্গম চরে নিজের স্ত্রী-সন্তানকে হত্যাকাণ্ডের রোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছে খুনি আল-আমিন। প্রথমে ছয় মাস বয়সী মেয়ে রোমানাকে গলা টিপে, পরে স্ত্রী শেফালী বেগমকে ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ দুটি ফেলে দেয়া হয় বাড়ির পাশের ভুট্টাক্ষেতে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বগুড়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুকে আদালতে দেয়া স্বীকারক্তিমূলক জবাববন্দিতে এসব তথ্য জানায় খুনি আল-আমিন। এর আগে, ২১ মার্চ তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে পাঁচদিনের রিমান্ডে নিয়ে আল-আমিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। রিমান্ড শেষে জবানবন্দি রেকর্ড করতে তাকে আদালতে তোলা হয়।
জবানবন্দিতে আল-আমিন জানায়, ২৮ ফেব্রুয়ারি (রোববার) রাত ৯টার দিকে ভুট্টাক্ষেত থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়। হত্যাকাণ্ড থেকে নিজেকে বাঁচাতে কৌশলে নিজের আত্মীয়-স্বজনদের নিয়েই ওই ভুট্টাক্ষেতে যায় সে। স্ত্রী-সন্তানের লাশ দেখে শুরু করেন অভিনয়।
সে আরো জানায়, পারিবারিক কলহের জেরে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় নিজের স্ত্রী-সন্তানকে হত্যা করেছে।
স্ত্রী-সন্তানের হত্যাকারী আল-আমিন সারিয়াকান্দি উপজেলার বোহাইল ইউনিয়নের শংকরপুর গ্রামের বাসিন্দা।
সময়/নাজ