ঈদকে সামনে রেখে দেশে এল রেকর্ড রেমিট্যান্স - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

শিরোনাম

Monday, May 03, 2021

ঈদকে সামনে রেখে দেশে এল রেকর্ড রেমিট্যান্স

 




নিউজ ডেস্কঃ


মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) মধ্যেও দেশে রেকর্ড সংখ্যক বৈদেশিক মুদ্রা এসেছে। প্রবাসীরা গত এপ্রিলে ২০৬ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার  রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধ‌রে যার পরিমাণ ১৭ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা। যা আগের বছরের একই মাসের চেয়ে প্রায় ৯০ শতাংশ বেশি। গত বছর এপ্রিলে রেমিট্যান্স এসেছিল ১০৯ কোটি ডলার। 


এর আগে দেশের ইতিহাসে এক মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহে এত বেশি প্রবৃদ্ধি কখনই হয়নি। চলতি অর্থবছরের মার্চে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯১ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। আর ফেব্রুয়ারি মাসে ১৭৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।


কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, ২০২০-২১ অর্থবছরের ১০ মাসে রেমিট্যান্স দুই হাজার কোটি (২০ বিলিয়ন) ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। এর আগে কোনো অর্থবছরে এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি। দেশে গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে এক হাজার ৮২০ কোটি ডলার বা ১৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স আসে। আর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আসে এক হাজার ৬৪২ কোটি ডলার।


বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঈদের আগে প্রবাসীরা বেশি বেশি রেমিট্যান্স পাঠান। এবারও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। আত্মীয়-স্বজনরা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে ঈদ উদযাপন করতে পারেন এজন্য প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন, আর তাদের রেমিট্যান্সের ওপর ভর করেই রিজার্ভ বাড়ছে।






















এর আগে চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৪৪ দশমিক শূন্য ২ বিলিয়ন বা চার হাজার ৪০২ কোটি ডলার।


আর ২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ৪৩ বিলিয়ন, ১৫ ডিসেম্বর ৪২ মি‌লিয়ন এবং ২৮ অক্টোবর রিজার্ভ ৪১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছিল।


সরকার ২০১৯ সালের জুলাই মাস থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে দুই শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে। অর্থাৎ কোনো প্রবাসী এক লাখ টাকা দেশে পাঠালে এর সঙ্গে আরো দুই হাজার টাকা যোগ করে মোট এক লাখ দুই হাজার টাকা দেয়া হচ্ছে। 


এছাড়া বিভিন্ন ব্যাংক এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো প্রণোদনার সঙ্গে বাড়তি আরো এক শতাংশ অর্থ অফার দিচ্ছে। এর ফলে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহী হচ্ছেন।


কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখন বৈধ পথে রেমিট্যান্স আসছে। রফতা‌নিও বে‌ড়ে‌ছে। এছাড়া আমদানি ব্যয়ের চাপ কম, দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, জাইকার বৈদেশিক ঋণ সহায়তা ও বিশ্ব সংস্থাগুলো অনুদানের কারণে রিজার্ভ বেড়েছে। 


আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুত থাকতে হয়।

No comments: