ওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীতে থেকে প্রতিদিন রাজশাহী জেলা থেকে প্রতিদিনি ২কোটি টাকার নানা প্রকারের ফরমালিন মুক্ত মাছ ঢাকা রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে রপ্তানী করা হয়। যার বছরের গড়ে প্রায় ৭ শত ৩০ কোটি টাকার মাছ দেশের মধ্যেই বিক্রয় হচ্ছে। জেলায় বর্তমানে ১৩ হাজার ৫০ হেক্টর জমির কয়েক হাজার পুকুরে প্রতিবছর ৮৪ হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হচ্ছে। দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে রাজশাহীর মাছচাষীরা বড় ভূমিকা পালন করছে।
জেলা বিভাগীয় মৎস অফিস সূত্রে জানাগেছে, বর্তমানে জেলার ১২ শতাংশ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে মাছ চাষে। সেই হিসেবে প্রায় ২লক্ষ ৮৮ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান মাছ চাষে। রাজশাহী বিভাগের বাহিরে প্রতি বছরে মাছের ব্যবসাসহ মাছচাষে সবমিলিয়ে আয় হচ্ছে হাজার কোটি টাকা। প্রতিদিন অন্ততপক্ষে ১৫০টি ট্রাকে মাছ বহন করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌছে যাচ্ছে। একটি ট্রাকে ৭০০ থেকে ৯০০ কেজি মাছ বহন করতে পারে।
তাজা ও সতেজ মাছ রপ্তানী উৎদ্যেগটি সর্ব প্রথমে এই জেলা থেকে শুরু হয়েছিল। জেলার পুঠিয়া, পবা, মোহপুর, দুর্গাপুর, বাগমারা ও তানোর উপজেলা এবং নাটোর জেলার সিংড়া, গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম থেকে মাছ রাজধানীতে বিক্রয় করা হচ্ছে। রাজধানীতে উত্তরাঞ্চলের তাজা মাছের ব্যাপক চাহিদা থাকায় এখানে প্রতিনিয়ত নতুন পুকুরের পাশাপাশি বাড়ছে চাষিদের সংখ্যা। তথ্যমতে, রাজশাহী জেলায় সবমিলিয়ে প্রতিবছর ৮৪ হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হচ্ছে। যার বর্তমান বাজার মূল্য কয়েক হাজার কোটি টাকা। আর মৎস্যজীবিদের মাঝে নতুন করে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে প্রায় ০১ লাখ ৩০ হাজার কর্মহীনের।
মৎস অফিস সূত্র বলছে, রাজশাহীতে এখন ৮৪ হাজার মেট্রিকটন টন মাছে উৎপাদন হচ্ছে। এই মাছের মধ্যে ৫২ হাজার মেট্রিক টন মাছ রাজশাহী বিভাগের চাহিদা পূরণ করে উদ্বৃত্ত বাকি প্রায় ৩২ মেট্রিক টন মাছ চলে যাচ্ছে বিভাগের বাহিরে। রাজশাহী বিভাগীয় মৎস অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক অলোক কুমার জানান, রাজশাহী মৎস্য চাষের জন্য উপযুক্ত এলকা। গত কয়েক বছরে রাজশাহীর পাশর্^বর্তী নাটোর জেলায় মৎস্য চাষে কর্মহীনদের কর্মসংস্থান হয়েছে।
No comments:
Post a Comment