জেলা প্রতিনিধিঃ
আমি কি নিয়ে বাঁচুম ভাই, আমার এইডা বেশি কলিজার টুকরা আছিলো ভাই। বেশি টান আছিল আমার। যদি লাশটা পাইতাম...ভাই আমার মনের দুঃখটা বুঝাইতে পারতাম। ধইরা একটু চেহারা চাইতে পারতাম।’ এভাবেই আহাজারি করছিলেন কর্ণফুলীর তীরে নিখোঁজ শিশু মো. রাহাতের মা জ্যেস্না বেগম।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদী তীর কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে পরিবেশ। দেরিতে হলেও শেষ বারের মতো সন্তানের মুখ দেখার আকুতি রাহাতের মায়ের।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে নিখোঁজ শিশু মো. রাহাতের খোঁজ মেলেনি এখনো। শনিবার দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধারকাজ চালায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। কিন্তু বিকেল পর্যন্ত তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের লিডার বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, ডুবে যাওয়া রাহাতকে উদ্ধারে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তাকে না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের উদ্ধারকাজ চলমান থাকবে।
রাহাত ভোলার দৌলতখান উপজেলার মো. কামাল হোসেনের ছেলে।
শুক্রবার দুপুরে নগরীর সদরঘাট এলাকার আনু মাঝিরঘাটে গোসলে নামে রাহাতসহ ছয় শিশু। নদীর প্রবল স্রোতের কারণে একপর্যায়ে তারা ডুবে যেতে লাগলে স্থানীয়রা পাঁচজনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। কিন্তু নিখোঁজ হয় রাহাত।