জেলা সংবাদ
চট্টগ্রামের পুরাতন চান্দগাঁওয়ে আলোচিত মা ও ছেলে হত্যা মামলার দীর্ঘ এক বছরের তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র আদালতে জমা দিয়েছে পুলিশ।
এতে বলা হয়েছে, মা গুলনাহার বেগমকে হত্যার দৃশ্য দেখে ফেলেছিল ৯ বছরের শিশু মো. রিফাত। সে কারণে তাকেও হত্যা করে আসামি মো. ফারুক। এক বছরের তদন্ত শেষে আসামি মো. ফারুকের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ।
বুধবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার জাহান অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করেন।
বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী জিয়া হাবীব আহসান বলেন, আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে বিচারের জন্য দায়রা জজ আদালতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে।
গত বছরের ২৪ আগস্ট রাত ৮টায় চট্টগ্রাম নগরীর চাঁন্দগাও থানার পুরাতন চান্দগাঁওয়ের রমজান আলী সেরেস্তাদার বাড়ি এলাকার একটি বাসায় গুলনাহার বেগম ও তার ছেলে রিফাতকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় গুলনাহার বেগমের মেয়ে ময়ূরী আক্তার বাদী হয়ে মো. ফারুককে আসামি করে চাঁন্দগাও থানায় হত্যা মামলা করেন।
গত বছরের ১ অক্টোবর ফারুককে গ্রেফতার করে র্যাব। জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে র্যাব কর্মকর্তারা জানান, ভারতীয় টিভি সিরিয়াল ‘ক্রাইম পেট্রল’ দেখে হত্যার কৌশল রপ্ত করেন ফারুক। সেই কৌশল কাজে লাগিয়ে পুরোনো ক্ষোভ থেকে গুলনাহার বেগমকে হত্যা করেন তিনি। সেই ঘটনা দেখে ফেলায় হত্যা করেন শিশু রিফাতকেও।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গুলনাহার বেগমের সঙ্গে দীর্ঘদিনের পরিচয় ছিল ফারুকের। তিনি গুলনাহারের বাসায় যাতায়াত করতেন। তবে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও কলহ হতো। গুলনাহার বেগম ফারুককে বকা দিতেন।
এ কারণে তার ওপর ক্ষোভের সৃষ্টি হয় ফারুকের। ঘটনার দিন কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে গুলনাহার বেগম ও শিশু রিফাতকে হত্যা করেন ফারুক। তিনি বহদ্দারহাট এলাকায় ভ্রাম্যমাণ হকার হিসেবে কাজ করতেন।
গুলনাহার বেগমের মেয়ে ময়ূরী আক্তার বলেন, আমার মা ও ছোট্ট ভাইকে হত্যা করেছে ফারুক। তার যেন ফাঁসির সাজা হয়।