সময় সংবাদ ডেস্কঃ
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের গাড়িচালক আবদুল মালেক ওরফে বাদলের স্ত্রী নার্গিস বেগমের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েসের আদালত শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। আদালতের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে, মালেকের স্ত্রী আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন। অন্যদিকে দুদক জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে আবদুল মালেক ও স্ত্রী নার্গিসের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে দুদক। এরপর অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক গাড়িচালক মো. আবদুল মালেক ও তার স্ত্রী নার্গিস বেগমের বিরুদ্ধে করা মামলার অভিযোগপত্র অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন দুদকের সহকারী পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি আবদুল মালেক দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৯৩ লাখ ৫৩ হাজার ৬৪৮ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেন। তিনি তার জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত ১ কোটি ৫০ লাখ ৩১ হাজার ৮১০ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে তা ভোগদখলে রেখেছেন।
মালেকের বিরুদ্ধে দুদক আইন, ২০০৪–এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় অভিযোগপত্র দাখিলের অনুমোদন দেওয়া হয়। অপর মামলায় মালেক ও তার স্ত্রী নার্গিস বেগমকে আসামি করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, মালেক ও তার স্ত্রী নার্গিস বেগম জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১ কোটি ১০ লাখ ৯২ হাজার ৫০ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ ভোগদখলে রাখায় পরস্পরকে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করেন। এ অপরাধে দুজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪–এর ২৭(১) এবং দণ্ডবিধি ১০৯ ধারায় অভিযোগপত্র চূড়ান্ত করে দুদক।
২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ভোরে রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে গাড়িচালক আবদুল মালেক ওরফে ড্রাইভার মালেককে গ্রেফতার করে র্যাব-১। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি, দেড় লাখ বাংলাদেশি জাল নোট, একটি ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় র্যাব-১ এর পুলিশ পরিদর্শক আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, গত ২০ সেপ্টেম্বর অস্ত্র আইনের মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত তৃতীয় মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম আসামি মালেকের পৃথক দুই ধারায় ১৫ বছর করে কারাদণ্ড দেন। তবে উভয় সাজা একইসঙ্গে চলবে বিধায় তাকে ১৫ বছরের কারাভোগ করতে হবে।