বোয়ালমারীতে গলাকাটা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় মামলা - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

রবিবার, অক্টোবর ১০, ২০২১

বোয়ালমারীতে গলাকাটা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় মামলা




বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ 

 

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে তিন সন্তানের জননীকে গলাকেটে হত্যার ঘটনার দুই দিন পর থানায় মামলা হয়েছে। নিহতের ছেলে বাদি হয়ে রবিবার (৯ অক্টোবর) রাত সোয়া ১১টায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনসহ সন্দেহজনক ছয়জনের নাম উল্লেখ করে বোয়ালমারী থানায় মামলা করেছেন। 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৭ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বোয়ালমারী পৌরসভার আধারকোঠা গ্রামের মো. আবুল খায়ের মন্ডলের স্ত্রী নিলুফা ইয়াসমিনের সাথে তার মেয়ে প্রিয়াংকার মেবাইল ফোনে কথা হয়। এরপরে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রিয়াংকা তার মা নিলুফাকে ফোন দিলে প্রথমে রিং বাজলেও পরে বন্ধ হয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে নিলুফা ইয়াসমিনের লাশ বাথরুমের সেফটি ট্যাংকের মধ্যে পাওয়া যায়। নিলুফা একা বাড়িতে থাকায় তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়িভাবে মাথায়, কপালে ও গলা কেটে খুন করে লাশ বাথরুমের সেফটি ট্যাংকের মধ্যে ফেলে বাইরে থেকে গেটের তালা লাগিয়ে দেয়। পরে নিহতের মা বিনা বেগম, বোন পলি খানম নিলুফার সন্ধানে বাড়ির বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে তার লাশ বাথরুমের সেফটি ট্যাংকের মধ্যে পায়। এরপর থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকেরা লাশটি উদ্ধার করে। 

এ ঘটনার দুই দিন পর নিহতের বড় ছেলে মো. ইমরান হোসেন বাদি হয়ে খুন করে লাশ গুম করার অপরাধে ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড ধারায় শনিবার রাত সোয়া এগারোটায় বোয়ালমারী থানায় মামলা করেছেন। মামলায় এজাহারনামীয় সন্দেহজনক দেলোয়ার চৌধুরী, রবিউল, জাহিদুল ইসলাম, রাজু, নাহিদ আলম, মনিরসহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনকে আসামী করে মামলা করেন। 

এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানা অফিসার ইন চার্জ মোহাম্মদ নুরুল আলম বলেন, এ ঘটনায় নিহতের ছেলে বাদি হয়ে মামলা করেছেন। এজাহারনামীয় কোন আসামী নেই তবে এজাহারে সন্দেহজনক ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

Post Top Ad

Responsive Ads Here