মায়ের সাথে বন্দী ৭৫ শিশুর শৈশব - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

শনিবার, ডিসেম্বর ১৮, ২০২১

মায়ের সাথে বন্দী ৭৫ শিশুর শৈশব


 


জেলা প্রতিনিধিঃ‌



মাদক মামলার আসামি রাজিয়া বেগম (ছদ্মনাম)। এক বছর আগে গ্রেফতার হয়ে আসেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে। গ্রেফতার হওয়ার সময় তিনি গর্ভবতী ছিলেন। তিনি বন্দী অবস্থায় কারাগারে জন্ম দেন একটি পুত্র সন্তান।



কারাগারে জন্ম নেওয়া ওই শিশুর বর্তমান বয়স প্রায় ৬ মাস। বন্দী মায়ের সঙ্গে নিষ্পাপ শিশুরও বন্দী জীবন কাটছে। শুধু রাজিয়ার সন্তান নয়, অভিন্নভাবে বন্দী মায়ের সঙ্গে ‘চৌদ্দ শিকে’ বন্দী জীবন কাটছে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ৭৫ শিশুর শৈশব। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার দেওয়ান মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘কারাগারে মায়ের সঙ্গে বন্দী শিশুদের প্রতি আলাদা নজর রাখা হয়।


তাদের পুষ্টিকর খাবার ও দুধ সরবরাহ করা হয়। এ ছাড়া তাদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। ’

বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন-চট্টগ্রাম চ্যাপ্টার সভাপতি জিয়া হাবিব আহসান বলেন, ‘যখন শিশুদের মাঠে ময়দানে খেলাধুলা করে সময় কাটানোর কথা, তখন মায়ের সঙ্গে চার দেয়ালে বন্দী জীবন কাটাতে হচ্ছে, এটা অবশ্যই অমানবিক। ’


জানা যায়, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পুরুষ ও নারী বন্দী রয়েছেন ৭ হাজার ৮৫১ জন।


তাদের মধ্যে নারী বন্দীর সংখ্যা ৩৬০ জন। যাদের সিংহভাগই মাদক মামলার আসামি। নারী বন্দীদের মধ্যে ৭৫ জন সন্তানকে রেখেছেন নিজের সঙ্গে। মায়ের সঙ্গে বন্দী শিশুদের মধ্যে ৪১ জন হচ্ছে ছেলে এবং ৩৪ জন কন্যা। এসব শিশুর বয়স এক মাস থেকে সাড়ে পাঁচ বছর।

তাদের কেউ কেউ আবার কারাগারেই জন্মগ্রহণ করেছেন। বন্দী শিশুদের মধ্যে ১২ জন হচ্ছে আবার রোহিঙ্গা নাগরিক। তাদের মা মাদক মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাবন্দী রয়েছেন। কারাবিধি অনুযায়ী একজন মা চাইলে শূন্য থেকে ছয় বছরের কম বয়সী শিশু সন্তানদের কারাগারে নিজের সঙ্গে রাখতে পারেন। শিশুদের বয়স ছয় বছরের অধিক হলে কারাগার থেকে পিতার কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। যদি পিতাও কারাগারে থাকেন তাহলে মায়ের সম্মতিতে স্বজনদের কাছে দেওয়া হয় শিশুকে। ক্ষেত্রবিশেষে স্বজন না থাকলে ‘সুবিধা বঞ্চিত শিশু’ হিসেবে সমাজ সেবা অধিদফতর পরিচালিত কোনো সংস্থায় রাখা হয় এসব শিশুকে।

Post Top Ad

Responsive Ads Here