শিমু বেঁচে থাকতে হারিয়েছেন শিল্পী সমিতির সদস্য পদ, মৃত্যুর পরদিনই সদস্য - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বৃহস্পতিবার, জানুয়ারী ২০, ২০২২

শিমু বেঁচে থাকতে হারিয়েছেন শিল্পী সমিতির সদস্য পদ, মৃত্যুর পরদিনই সদস্য

 

শিমু বেঁচে থাকতে হারিয়েছেন শিল্পী সমিতির সদস্য পদ, মৃত্যুর পরদিনই সদস্য
ছবি: সংগৃহীত


নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে ভোটাধিকার হারানো শতাধিক শিল্পীর মধ্যে অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুও ছিলেন। জায়েদ খানের সঙ্গে একাধিকবার বিবাদে জড়িয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পুরো কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্তে তার সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। কমিটিতে ছিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন, রিয়াজ, মিশা সওদাগরের মতো তারকারা।

2016 সালে মিশা-জায়েদ প্যানেল কমিটি ক্ষমতায় আসার পর শিমুরকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। তার সদস্যপদ প্রত্যাহার করা হয়েছিল এবং তাকে সহযোগী সদস্য করা হয়েছিল। প্রয়াত অভিনেত্রী এমনকি সদস্য হিসেবে সুযোগ-সুবিধা থেকেও বঞ্চিত ছিলেন। সেই ক্ষোভেই ভোটের অধিকার ফিরে পেতে সরে দাঁড়ান শিমু। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন সময়ে কথা বলেছেন তিনি।

একজন সহযোগী সদস্যের কাছ থেকে সদস্যপদ ফিরে পেতে চার বছর ধরে ভোটাধিকারের জন্য প্রচারণা চালিয়ে যাওয়া শিমু মৃত্যুর পরদিনই সমিতির সদস্য হন!


গত ১৯ জানুয়ারি এফডিসিতে দেখা যায়, শিমুর মৃত্যুতে শোক জানিয়ে ব্যানার করেছে মিশা-জায়েদ প্যানেল। একটি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নামে, অন্যটি মিশা-জায়েদ প্যানেলের নামে। ব্যানারে শিমুরাকে 'বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সমিতির সদস্য শিমুরা' হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই পরিচয় সবার নজর কেড়েছে। জন্ম দিয়েছেন আলোচনার।


অনেকে এটাকে মৃত শিমুরার উপহাস হিসেবে দেখছেন। তারা বলছেন, মিশা-জায়েদকে নেতৃত্বের সহযোগী সদস্য করে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত শিমু মৃত্যুর পর তাকে সদস্য করে। শিমুরার মৃত্যুর আবেগকে কাজে লাগিয়ে শিল্পীদের সমর্থন আদায় করছেন তারা। চার বছর ধরে শিল্পী সমিতিতে অবহেলিত শিমুকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে ভোটের রাজনীতি। তাকে নিয়ে কথা বলে আবেগ ছড়িয়ে দিতে পারলে। আর আমরা সেই মুনাফা ঘরে তোলার চেষ্টা করছি।


অভিনেত্রী শিমুর চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় ১৯৯৭ সালে। কাজী হায়াত পরিচালিত 'বর্তমান' চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। প্রায় ২৫টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। এছাড়াও তিনি অর্ধশতাধিক নাটকে অভিনয় করেছেন। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে অভিনেত্রী হিসেবে কাজ করেছেন শিমু।


অভিনেত্রী হিসেবে শিমু দেশের বিখ্যাত পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করেছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন প্রয়াত কৃষক নজরুল ইসলাম, পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, এ জে রানা, শরিফউদ্দিন খান দিপু, এনায়েত করিম, শবনম পারভীন।


এছাড়া শাকিব খান, রিয়াজ, অমিত হাসান, বাপ্পারাজ, জাহিদ হাসান, মোশাররফ করিমসহ দেশের অনেক জনপ্রিয় অভিনেতার বিপরীতে অভিনয় করেছেন শিমু। প্রযোজক হিসেবেও দেখা গেছে তাকে।


প্রসঙ্গত, সোমবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে কেরানীগঞ্জের হযরতপুর ব্রিজের কাছে আলিয়াপুর এলাকা থেকে অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর (৩৫) বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়। শিমু হত্যার অভিযোগে তার স্বামী শাখাওয়াত আলীম নোবেল ও তার বন্ধু ফরহাদকে আটক করেছে কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। নিহতের বড় ভাই শহিদুল ইসলাম খোকন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে অভিনেত্রীকে।

মোঃসাইফুল্লাহ /সময় সংবাদ 

Post Top Ad

Responsive Ads Here