কলাপাড়ায় অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রীকে গনধর্ষনের অভিযেগে গ্রেফতার-৩ | সময় সংবাদ
কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি:
কলাপাড়ায় ৮ম শ্রেনীতে পড়–য়া এক শিক্ষার্থীকে গনধর্ষনের অভিযোগে তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে ওই শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে কলাপাড়া থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন। দুপুরে কলাপাড়া পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকা তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো মাসুম (২৩), গোপাল চন্দ্র মিস্ত্রী (২২) ও শাকিল (২৫)। তাদের সবার বাড়ি কলাপাড়া পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই শিক্ষার্থী খেপুপাড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী। গত ২৩ ফেব্রæয়ারী সকালে মাদ্রাসা সড়ক এলাকার বাসিন্দা ওই শিক্ষার্থী কলাপাড়া হাসপাতালে করোনার টিকা নিতে আসেন। এসময় পরিচয় হয় মাসুমের সঙ্গে। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে ৮ মার্চ বিকালে মাসুম ওই শিক্ষার্থীকে বাসা থেকে কৌশলে বের করে টিয়াখালী ইউনিয়নের ইটবাড়িয়া গ্রামে নিয়ে যায়। পরে ওই এলাকায় ঘোরাফেরা করে রাত সাড়ে নয়টার দিকে ওই গ্রামের একটি তালগাছের নিচে ওই শিক্ষার্থীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষন করে মাসুম ও শাকিল। ওই শিক্ষার্থী কিছুটা অসুস্থ বোধ করলে তারা তাকে কলাপাড়া হাসাপাতালের ২০৬ নম্বর কক্ষে ভর্তি করেন। গভীর রাতে ওই শিক্ষার্থীকে ফের মাসুম ধর্ষন করে হাসপাতালে রেখে চলে যায়।
পরে ৯ মার্চ ওই শিক্ষার্থীর পরিবার অনেক খোজাখুজি করে কলাপাড়া হাসাতালের সম্মূক্ষে পান তাকে । বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য মাসুম ভয়ভীতি দেখানোর ফলে ওই শিক্ষার্থী তার পরিবারকে কিছুই জানায়নি। ফের ১১ মার্চ দুপুরে ওই শিক্ষার্থী বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে মাসুম, শাকিল ও গোপাল তাকে পাখিমারা এলাকায় নিয়ে যায়। পরে মাসুম ওই শিক্ষার্থীকে ওই এলাকার বিভিন্ন স্থানে রেখে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে উপুর্যুপরি ধর্ষন করে। ওই শিক্ষার্থীর পরিবার অনেক খোজাখুজরি পরও তাকে না পেয়ে সোমবার কলাপাড়া থানা পুলিশকে অবহিত করেন। পুলিশ রাতেই পৌর শহরের রহমতপুর এলাকা থেকে ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেন।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: জসিম সাংবাদিকদের জানান, শিক্ষার্থীকে মেডিকেল রিপোর্টের জন্য পটুয়াখালী হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। আসামীদের মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাদের জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেয়।