সালথায় চাঁদা না দেওয়ায় বিধবা নারীর জমি দখলের চেষ্টা : সংবাদ সম্মেলন - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

রবিবার, আগস্ট ১৭, ২০২৫

সালথায় চাঁদা না দেওয়ায় বিধবা নারীর জমি দখলের চেষ্টা : সংবাদ সম্মেলন

সালথায় চাঁদা না দেওয়ায় বিধবা নারীর জমি দখলের চেষ্টা : সংবাদ সম্মেলন
সালথায় চাঁদা না দেওয়ায় বিধবা নারীর জমি দখলের চেষ্টা : সংবাদ সম্মেলন


সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:

ফরিদপুরের সালথায় মোসাম্মাদ নিলুফা ইয়াসমিন (৫৫) নামে এক বিধবা নারীর জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক জামায়াত নেতা ও ইউপি সদস্যসহ কয়েকজন প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে।


রবিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে সালথা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী নিলুফা ইয়াসমিন এ অভিযোগ করেন। তিনি দাবি করেন, চাঁদা না দেওয়ার কারণে প্রভাবশালী জামায়াত নেতাসহ অন্যরা তার জমি দখলের চেষ্টা করছেন।


সংবাদ সম্মেলনে নিলুফা ইয়াসমিন জানান, সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের চন্ডীবরদী গ্রামে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে উত্তর চন্ডীবরদী মৌজায় তার ৯৩ শতাংশ জমি রয়েছে। দীর্ঘদিন পতিত জমিটি স্থানীয় যুবক ও তরুণরা খেলাধুলার জন্য ব্যবহার করতো। সম্প্রতি পারিবারিক সিদ্ধান্তে সেখানে শতাধিক আমগাছ লাগিয়ে বেড়া নির্মাণ করেন তিনি।


তার ভাষ্য অনুযায়ী, গত ৪ আগস্ট আবারও কিছু গাছ লাগাতে গেলে বাধা দেন সালথা উপজেলা জামায়াতের আমির আবুল ফজল মুরাদ, বল্লভদী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ওলিয়ার রহমান এবং স্থানীয় মো. আরটি হাসান। এ সময় তারা জমিটিকে খেলার মাঠ দাবি করে সব গাছ উপড়ে ফেলেন এবং বেড়া ভাঙচুর করেন।


নিলুফা ইয়াসমিন অভিযোগ করেন, “জামায়াত নেতা আবুল ফজল মুরাদ, ইউপি সদস্য ওলিয়ার রহমান এবং আরটি হাসান আমাকে বলেন, এই জমিতে কিছু করতে হলে প্রথমে ২৫ লাখ টাকা দিতে হবে। পরে আবুল ফজল মুরাদ বলেন, ২৫ লাখ না, ১২ লাখ দিলেই হবে। আর যদি টাকা না দিই, তবে জমিতে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।”


তিনি আরও জানান, বিষয়টি নিয়ে সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। কিন্তু অভিযুক্তরা সাংবাদিকদের ভুয়া তথ্য দিয়ে তার বিরুদ্ধে খেলার মাঠ দখলের অভিযোগে সংবাদ প্রকাশ করাচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে জমি উদ্ধারে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী।


অভিযোগ অস্বীকার করে সালথা উপজেলা জামায়াতের আমির আবুল ফজল মুরাদ বলেন, “৫৫ বছর আগে ওই জমি সড়ক ও জনপদ (সওজ) অধিদপ্তর কিনে নেয়। এরপর থেকে জায়গাটি খালি থাকায় স্থানীয় যুবকরা খেলাধুলা করে আসছে। সরকারি বরাদ্দের মাধ্যমে মাঠ ভরাটও করা হয়। সম্প্রতি নিলুফা ইয়াসমিন জমির মালিক দাবি করে আমগাছ লাগাতে শুরু করেন। আমি বাধা দিলে উল্টো আমার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ তোলেন তিনি।”


অন্য অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মো. ওলিয়ার রহমান শেখ ও মো. আরটি হাসানের বক্তব্য নেওয়ার জন্য একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা সাড়া দেননি।


সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, “জায়গাটি খালি থাকায় স্থানীয় ছেলেরা খেলাধুলা করতো। তবে মালিকানা নিয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছে। আমি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর তদন্ত করলে প্রকৃত মালিকানা পরিষ্কার হবে।”


সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনিছুর রহমান বালী বলেন, “জমির মালিকানা যাচাই-বাছাই করতে স্থানীয় তহশীলদারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি ঘটনাস্থলে তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দিলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”


Post Top Ad

Responsive Ads Here