চরভদ্রাসনে ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে তিন শতাধিক পরিবারের দুঃসহ যাতায়াত - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বুধবার, আগস্ট ২৭, ২০২৫

চরভদ্রাসনে ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে তিন শতাধিক পরিবারের দুঃসহ যাতায়াত

চরভদ্রাসনে ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে তিন শতাধিক পরিবারের দুঃসহ যাতায়াত
চরভদ্রাসনে ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে তিন শতাধিক পরিবারের দুঃসহ যাতায়াত

 


নাজমুল হাসান নিরব, ফরিদপুর প্রতিনিধি:

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার দবিরউদ্দিন প্রামানিকের ডাঙ্গী-টিলারচর এলাকার প্রায় তিন শতাধিক পরিবারের হাজারখানেক মানুষের একমাত্র চলাচলের সেতুটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। উন্নয়নের এই যুগে এখনও মানুষকে পাটাতনের পায়ে হাঁটার সেতুর ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। কিন্তু নির্মাণের দুই বছরের মাথায়ই ব্রীজটির পাটাতন ভেঙে পড়তে শুরু করেছে, আর রেলিংগুলো মরিচা ধরে ভেঙে যাচ্ছে।


বুধবার (২৭ আগস্ট ২০২৫) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কোমলমতি স্কুল শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই সেতু পারাপার করছে। ইতিমধ্যেই সেতু থেকে শিশু ও বৃদ্ধ পড়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।


স্থানীয়রা জানান, প্রায় দুই বছর আগে স্থানীয় সংসদ সদস্যের অর্থায়নে ভুবেনশ্বর নদের উপর ৫০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৬ ফুট প্রস্থের পায়ে হাঁটার পাটাতনের সেতুটি নির্মাণ করা হয় । এর আগে এলাকাবাসী বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করত। বহুবার অনুরোধ করার পর অবশেষে এই সেতুটি নির্মাণ করা হলেও নিম্নমানের বালু, সিমেন্ট ও ইট ব্যবহারের কারণে মাত্র দুই বছরের মাথায় ভেঙে পড়তে শুরু করেছে। বর্তমানে প্রায় তিনটি স্থানে পাটাতন নেই, আর লোহার রেলিং মরিচা ধরে ধসে যাচ্ছে।


তাদের অভিযোগ, দ্রুত সংস্কার বা নতুন করে স্থায়ী ব্রীজ নির্মাণ না হলে কোমলমতি শিক্ষার্থী, প্রবীণ ও সাধারণ মানুষের চলাচল চরমভাবে বিঘ্নিত হবে। একমাত্র বিকল্প উপায় হবে সাতড়ায়ে ভুবেনশ্বর নদী পার হওয়া, যা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য।

চরভদ্রাসনে ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে তিন শতাধিক পরিবারের দুঃসহ যাতায়াত
চরভদ্রাসনে ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে তিন শতাধিক পরিবারের দুঃসহ যাতায়াত



স্থানীয় বাসিন্দা সেক আবুল কালাম বলেন, “দুই বছরেই আমাদের ব্রিজটি ভেঙে চুরে গেছে। প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার মানুষ এই সেতু দিয়ে যাতায়াত করে। এই ব্রিজটি আমাদের খুব দরকার। মেরামত বা পুনর্র্নিমাণ না হলে আমাদের চলাফেরায় চরম অসুবিধা হবে।”


সেক ইউসুফ নামে আরেক বাসিন্দা জানান, “আমাদের দুঃখ-দুর্দশার শেষ নেই। মাত্র দুই বছরেই ব্রিজটি ভেঙে গেছে। এখন প্রয়োজনীয় কোনো জিনিসপত্রও আমরা এই পথে আনতে পারি না।”


স্থানীয় যুবক রাকিব হোসেন বলেন, “নিম্নমানের ইট-বালু-সিমেন্ট দিয়ে নির্মাণ করার কারণে ব্রীজটি দ্রুত ভেঙে গেছে। এটি কোনো স্থায়ী ব্রিজ নয়। আমরা চাই এখানে একটি স্থায়ী সেতু নির্মিত হোক। তাহলে আমরা রিকশা, ভ্যান, মোটরসাইকেলসহ যানবাহন নিয়ে সহজে চলাচল করতে পারব।”


চরভদ্রাসন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ছড়োয়ার হোসেন বলেন, “আমি একাধিকবার চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানিয়েছি। তিনি বলেছেন উপজেলা মিটিংয়ে বিষয়টি উল্লেখ করবেন। তবে করেছেন কিনা জানি না।”


এ বিষয়ে চরভদ্রাসন ইউনিয়ন পরিষদে যেয়ে চেয়ারম্যান আজাদ খানকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনেও একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।


চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনিরা খাতুন বলেন, “এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য আমাকে কিছু জানাননি। জানালে আমি উপজেলা প্রকৌশলীসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করব। যদি মেরামত সম্ভব হয় তাহলে ব্যবস্থা নেব, না হলে বিকল্প পরিকল্পনা করা হবে। ইউপি সদস্যের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”



Post Top Ad

Responsive Ads Here