চট্টগ্রাম বন্দরে নিরাপত্তা জোরদার | সময় সংবাদ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

মঙ্গলবার, মে ২৪, ২০২২

চট্টগ্রাম বন্দরে নিরাপত্তা জোরদার | সময় সংবাদ

 



চট্টগ্রাম বন্দরে নিরাপত্তা জোরদার | সময় সংবাদ
চট্টগ্রাম বন্দরে নিরাপত্তা জোরদার | সময় সংবাদ


সময় সংবাদ ডেস্ক:


যুক্তরাজ্য, স্পেন, জার্মানি, পর্তুগালসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাস ‘মাঙ্কিপক্স’ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়েছে চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য বিভাগ। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর ও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্ক্যানিংসহ সব স্বাস্থ্য পরীক্ষায় করা হয়েছে নিরাপত্তা জোরদার।


বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর।


তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নতুন এ ভাইরাসের রোগী পাওয়ার খবরে চট্টগ্রাম বন্দর ও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে হেলথ স্ক্যানিংসহ যাবতীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এসব বন্দরে চিকিৎসকের পাশাপাশি বাড়তি স্বাস্থ্যকর্মীও নিয়োজিত রাখা আছে। কোনো ব্যক্তির শরীরে মাঙ্কিপক্সের চিহ্ন কিংবা লক্ষণ পাওয়া গেলে দ্রুত আইডিসিআরসহ সংশ্লিষ্টদের অবহিত করতে বলা হয়েছে।


অন্যদিকে, রোববার এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব বিভাগ থেকে নতুন এক নির্দেশনা দেয়া হয়। নির্দেশনায় দেশের সকল বন্দরে বিশেষ সতর্কতা দেয়া হয়। মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে দেশের আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ও স্থলবন্দরসমূহে আক্রান্ত দেশ হতে আগত যাত্রীদের ওপর সজাগ দৃষ্টি এবং হেলথ স্কিনিং জোরদারের কথা বলা হয়। পাশাপাশি সন্দেহজনক কোনো রোগী পাওয়া গেলে নিকটস্থ সরকারি হাসপাতাল কিংবা সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে পাঠাতেও বলা হয়।  


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, মাঙ্কিপক্স হলো হারিয়ে যাওয়া গুটি বসন্তের মতো। তবে তুলনামূলক কম গুরুতর এবং সংক্রমণের মাত্রা কম। এটির প্রাথমিক উপসর্গ জ্বর, মাথাব্যথা, গাঁট ও মাংসপেশিতে ব্যথা এবং দেহে অবসাদ।


জ্বর শুরু হওয়ার পর দেহে গুটি দেখা দেয়। এসব গুটি শুরুতে মুখে দেখা দিলেও পরে তা হাত ও পা’সহ দেহের সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। এ গুটির জন্য আক্রান্ত রোগীর দেহে খুব চুলকানি হয়। পরে গুটি থেকে ক্ষত দেখা দেয়। জল বসন্তের মতোই রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠলেও দেহে এসব ক্ষত চিহ্ন রয়ে যায়।


আক্রান্ত রোগীর ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শ থেকে ভাইরাসটি ছড়ায়। বিশেষ করে আক্রান্ত ব্যক্তির কাপড়-চোপড় ও বিছানার পাশাপাশি শ্বাস-প্রশ্বাস, ত্বকের ক্ষত এবং নাক, মুখ ও চোখের ভেতর দিয়ে এ ভাইরাস মানুষের দেহে প্রবেশ করে।


এছাড়াও বানর, ইঁদুর, কাঠবিড়ালি থেকেও এটি অন্যকে সংক্রমিত করতে পারে বলে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।


১৯৫৮ সালে বানরের দেহে এ ভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় বলে এটির নামকরণ করা হয় ‘মাঙ্কিপক্স’। যদিও এখন ইঁদুরকে বিস্তারের প্রধান পোষক হিসেবে সন্দেহ করা হচ্ছে।


Post Top Ad

Responsive Ads Here