পবায় আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে প্রায় ৫ শতাধিক নারী-পুরষের ঝাড়ু মিছিল | সময় সংবাদ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

শিরোনাম

Sunday, June 26, 2022

পবায় আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে প্রায় ৫ শতাধিক নারী-পুরষের ঝাড়ু মিছিল | সময় সংবাদ

 পবায় আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে প্রায় ৫ শতাধিক নারী-পুরষের ঝাড়ু মিছিল | সময় সংবাদ


ওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী:

রাজশাহীর পবা উপজেলার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে ঝাড়– ও জুতা মিছিল, কুশপুত্তলিকা দাহ, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 


বির্তকিত পারিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সোহরাব আলীর বিরুদ্ধে নির্বাচনে বারবার নৌকার বিপক্ষে অবস্থান, দলীয় ত্যাগী নেতাকর্মীদের মারধরসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। ওই সময় প্রায় ৫ শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেয়।


রবিবার (২৬ জুন) বিকাল ৪টার সময় পারিলা বাজারে স্থানীয়দের উদ্যেগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, এহিয়া তালুকদার, পারিলা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার শফিকুল আলম, পারিলা  ইউনিয়নের সাবেক আলাউদ্দিন মন্ডল, ৪ নং সাবেক সহ-সভাপতি নুরুজ্জামান, সংরক্ষিত মেম্বার মমতাজ বেগম, জালাল উদ্দীন তালুকদার প্রমুখ। ওই সময় বক্তারা বলেন, নির্বাচনে বারবার নৌকার বিপক্ষে অবস্থান ও মাদ্রাসা-গোরস্থানের জমি গোপনে বিক্রিসহ নানা অভিযোগ সত্বেও গত ১৯ জুনের কাউন্সিলে বিতর্কিত নেতা সোহরাব আলীকেই রাজশাহীর পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি করা হয়।


সভাপতি হয়েই গত বুধবার (২২ জুন) রাতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতাবিষয়ক সম্পাদক আসাদুল্লাহ গালিবের ওপর দলবল নিয়ে হামলা চালান সোহরাব আলী। খবর পেয়ে তাঁকে রক্ষায় আসেন তাঁর বাবা (বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে পারিলা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে ১৩ বছর দায়িত্ব পালন করা প্রবীন নেতা) হেলাল উদ্দিন তালুকদার। এ সময় তাঁকেও মারধর করা হয়। পবা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জহুরুল ইসলাম চঞ্চল তাঁদের রক্ষার চেষ্টা করলে তাঁকেও মারধর করা হয়। পরে তাঁরা তিনজন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। বিতর্কিত নেতা যাতে পুনরায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি না হতে পারেন, সে জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন।



ইতোপূর্বে তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে। ওই ক্ষোভে প্রতিপক্ষের উপর হামলা চালায় সোহরাব আলী, তার ছোট ভাই আসাদুল ও কামরুল, ছেলে সৌমিক, ক্যাডার স¤্রাট, হাবিবসহ কয়েকজন। এসময় সোহরাব ও তার ছেলেরা উত্তেজিত হয়ে গালিবকে বলেন, তোর লিটন (রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র) বাপের কাছে অভিযোগ করিস, এখন তোর বাপকে বল,  তোকে বাঁচাতে। এসব বিষয়ে পবা থানায় মামলা দায়ের করা হলেও পুলিশ এখনও অপরাধীদেও গ্রেফতার করতে পারেনি। তাই দোষীদের দ্রæত গ্রেপ্তারের পাশাপাশি সোহরাব আলীকে দলীয় পদ থেকে অপসারণের দাবি জানান তারা।


No comments: