"পদ্মাসেতুর সমালোচনাকারীদের দেশপ্রেম নেই: পানিসম্পদ উপমন্ত্রী | সময় সংবাদ"
নিজস্ব প্রতিবেদক
পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেছেন, যারা পদ্মাসেতু নিয়ে সমালোচনা করে তাদের দেশ প্রেম নেই। তারা জাতির শত্রু। কারণ, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের মর্যাদা বাড়িয়েছে। প্রমাণিত হয়েছে যে বঙ্গবন্ধুর বীরকন্যা শেখ হাসিনা যে ওয়াদা করেন তা বাস্তবে পালন করেন।
শুক্রবার রাজধানীর একটি হোটেলে শরীয়তপুর সাংবাদিক সমিতি ঢাকার দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
উপমন্ত্রী শামীম বলেন, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী পদ্মাসেতু নির্মাণকে জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে অগ্রাধিকার তালিকায় নিয়ে আসেন। বিশ্বব্যাংক দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে পা দিয়ে অযথাই একটি নোংরা বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল মনগড়া দুর্নীতির অভিযোগ তুলে। বেলা শেষে সেই অভিযোগ কানাডার আদালতসহ কোথাও টেকেনি। মহান জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়েই বঙ্গবন্ধুকন্যা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণের ঘোষণা করেন। সে সময় অনেকেই বিদ্রূপ করেছিল। কিন্তু আজকে বাস্তবতা। আজ সেই সেতু শুধু সেতুই নয়, আমাদের সক্ষমতার প্রতীক।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন আমাদের কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। পদ্মাসেতু হচ্ছে দাবিয়ে না রাখার প্রতীক। পদ্মাসেতু বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে এনামুল হক শামীম বলেন, সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলাই হচ্ছে সাংবাদিকদের কাজ। সমালোচনার জন্য সমালোচনা না করে গঠনমূলক সমালোচনা করলে সরকার সংশোধনের সুযোগ পায়। কিন্তু মিথ্যা ও ভুয়া তথ্য জনগণের কাছে তুলে ধরলে গণমাধ্যমেরই ক্ষতি হয়।
তিনি বলেন, সাংবাদিকরা রাজনীতিবিদদের পরমবন্ধু। দুঃসময়ে আমাদের পাশে থাকেন। আওয়ামী লীগ সরকার সাংবাদিকবান্ধব সরকার। আওয়ামী লীগ সরকারই একমাত্র সাংবাদিকদের কল্যাণে কাজ করেছে। অন্যরা সাংবাদিকদের উপর জুলুম নির্যাতন চালিয়েছে।
এ সময় পদ্মাসেতু নির্মাণের ফলে দক্ষিণবঙ্গের কি কি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে সেগুলো তুলে ধরতে শরীয়তপুরের সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
শরীয়তপুর সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হক চঞ্চলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিএম ইউসুফ আলী, শরীয়তপুর সমিতি ঢাকার সভাপতি আনিছুর রহমান পাহাড় প্রমুখ।