ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানের খবর পেয়েই পালিয়ে গেলেন চাল ব্যবসায়ীরা | সময় সংবাদ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বুধবার, জুন ০১, ২০২২

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানের খবর পেয়েই পালিয়ে গেলেন চাল ব্যবসায়ীরা | সময় সংবাদ

 

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানের খবর পেয়েই পালিয়ে গেলেন চাল ব্যবসায়ীরা | সময় সংবাদ
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানের খবর পেয়েই পালিয়ে গেলেন চাল ব্যবসায়ীরা | সময় সংবাদ


সময় সংবাদ ডেস্ক:



জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানের খবর পেয়েই পালিয়ে গেলেন চাল ব্যবসায়ীরা। গতকাল মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটে। পরে অধিপ্তরের কর্মকর্তাদের অনুরোধ সত্ত্বেও তারা দোকানে ফেরেননি।


এর আগে মূল্যতালিকায় অসংগতি থাকায় ঐ বাজারের এসএম রাইস এজেন্সি ও আনোয়ার ট্রেডার্স নামের দুটি দোকানকে চার হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এর পরই অধিকাংশ ব্যবসায়ী দোকান ছেড়ে বেরিয়ে যান।


এ প্রসঙ্গে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ফাহমিনা আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা মূলত এসেছি চালের দাম বাড়ার বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নিতে। কিন্তু আমাদের আসার খবরে অনেক চাল ব্যবসায়ী দোকান থেকে সরে গেছেন। পরে তাদের অনেক অনুরোধ করা হলেও তারা দোকানে ফিরে আসেননি।


তিনি আরো বলেন, ব্যবসায়ীদের চালের কেনা মূল্য থেকে তাদের দোকান পর্যন্ত আনতে প্রতি কেজিতে আরো দুই টাকা খরচ পড়ে। তার সঙ্গে কেজিতে পাঁচ টাকা লাভ যোগ করে বিক্রি করেন তারা। কিন্তু মূল্যতালিকায় কেনা দামের সঙ্গে কেজিতে ১০ থেকে ১২ টাকা বেশি দেখা গেছে।


কৃষি মার্কেটের পাইকারি চালবাজার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মনিরুল ইসলাম মন্টু বলেন, মিলমালিকেরা বিভিন্ন অজুহাতে চালের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। অগ্রিম টাকা দিয়েও ব্যবসায়ীরা চাল পাচ্ছেন না বলে জানান তিনি। দোকান থেকে ব্যবসায়ীদের সরে যাওয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সবাই মনে করেছেন তাদের জরিমানা করা হবে। এজন্য তারা দোকান ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।


উল্লেখ্য, হঠাৎ করেই আমনের ভরা মৌসুমে চালের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি চালে ২ থেকে ৪ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। গত সোমবার খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ মজুমদার তার অফিসকক্ষে এক মতবিনিময় সভায় বলেছেন, কৃত্রিম সংকট তৈরি করা না হলে এ দেশে খাদ্যের সংকট হবে না। তিনি বলেন, অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যা করণীয়, তার সবই করা হবে। প্রয়োজনে শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানি করে ভোক্তাকে স্বস্তিতে রাখা হবে। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন করপোরেট হাউজ বাজার থেকে ধান-চাল কেনা শুরু করেছে। তারা কৃত্রিম কোনো সংকট তৈরি করছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। তিনি ধান-চালের বাজারে নজরদারি বাড়াতে প্রশাসনকে নির্দেশ দেন। খাদ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর গতকাল মঙ্গলবার থেকে অবৈধ মজুতদারদের ধরতে মাঠে নেমেছে আটটি টিম।




কুমিল্লা সিটি নির্বাচন: প্রার্থীদের করোনাকালের ভূমিকা ভোটের মাঠে প্রভাব ফেলবেকুমিল্লা সিটি নির্বাচন: প্রার্থীদের করোনাকালের ভূমিকা ভোটের মাঠে প্রভাব ফেলবে।



গতকাল মন্ত্রীর সভাপতিত্বে সচিবালয়ে তার নিজ দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক সভায় অভিযানের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি সারা দেশে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্হা (ইউএনও) , জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকেও এ বিষয়ে ব্যবস্হা নিতে চিঠি দেওয়া হবে। এছাড়া শিগ্গিরই কৃষি, খাদ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বিত সভার আয়োজন করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন মন্ত্রী।


গতকাল টিম গঠনের পাশাপাশি খাদ্য মন্ত্রণালয়ে একটি কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। অবৈধ মজুতের তথ্য জানাতে কন্ট্রোলরুমের +৮৮০২২২৩৩৮০২১১৩, ০১৭৯০-৪৯৯৯৪২ এবং ০১৭১৩-০০৩৫০৬ নম্বরে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। উল্লেখ্য, গত সোমবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে ভরা মৌসুমে চালের দাম এত বেশি কেন, তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


 

Post Top Ad

Responsive Ads Here