
"ভারতের সঙ্গে ট্রানজিট: নতুন সম্ভাবনার হাতছানি | সময় সংবাদ"
মো. রাকিবুর রহমান, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর। এ দুই বন্দর দিয়ে পণ্য সরবরাহ করতে ২০১৮ সালের অক্টোবরে চুক্তিবদ্ধ হয় ভারত-বাংলাদেশ। এরপর ২০২০ সালের জুলাইয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায় প্রথম পরীক্ষামূলক চালান। এর মধ্য দিয়েই সূচনা হয় নতুন এক দিগন্তের।
প্রথম পরীক্ষামূলক চালানটির মাধ্যমে ৬৯৪ ডলার বা ৫৮ হাজার ৮৯৯ টাকা আয় করে চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমস। এছাড়া পণ্য পরিবহন করে বেসরকারি খাতে আয় হয় দুই লাখ ৭২ হাজার টাকা। ফলে ভারতের সঙ্গে ট্রানজিট কার্যক্রম পুরোদমে চালু হলে দুই দেশের সম্পর্কের যেমন উন্নয়ন হবে, তেমনি বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি খাতে নতুন এক সম্ভাবনা তৈরি হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে, ভারতের পণ্য পরিবহনের পরীক্ষামূলক শেষ দুটি চালানের একটি চট্টগ্রাম বন্দরের পথে রয়েছে। রোববার সকালে এক কনটেইনার পণ্য (রড) নিয়ে কলকাতার শ্যামপ্রসাদ মুখার্জি বন্দর ছেড়েছে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি ‘ট্রান্স সামুদেরা’। জাহাজটি মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরে খালাসের পর চালানটি সড়কপথে শ্যাওলা (সিলেট)-সুতারকান্দি (ভারত) স্থলবন্দরের মাধ্যমে ভারতের আসামে নেয়া হবে। এছাড়া চলতি সপ্তাহে মেঘালয় থেকে চায়ের কনটেইনার ডাউকি-তামাবিল হয়ে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে কলকাতা বন্দরে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এটি ট্রানজিটের ট্রায়াল রানের শেষ চালান।
২০২০ সালের প্রথম চালানটিতে কলকাতা বন্দর থেকে চারটি কনটেইনার নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে পণ্যবাহী জাহাজ ‘এমভি সেঁজুতি’। এর মধ্যে দুটি কনটেইনারে ছিল টিএমটি স্টিল বার, যা পরে স্থলপথে ভারতের ত্রিপুরায় যায়। বাকি দুই কনটেইনারে ছিল ডাল, যা ভারতের আসামে নেয়া হয়।
প্রস্তুত চট্টগ্রাম বন্দর
ট্রানজিটের পরীক্ষামূলক চালান পরিবহনে প্রস্তুত রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। দেশের প্রধান এ সমুদ্রবন্দরে দৈনিক গড়ে সাড়ে আট হাজার কনটেইনার ওঠা-নামা হয়। পরীক্ষামূলক ট্রানজিটে এবার আসছে একটিমাত্র কনটেইনার। তাই ট্রানজিট পুরোদমে চালু হলেও বন্দরের ওপর খুব বেশি চাপ পড়বে না বলে জানিয়েছেন বন্দরের কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, ট্রানজিট পণ্য খালাসের প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। আমাদের ইকুইপমেন্টসহ সবকিছুই ঠিক আছে। মঙ্গলবার জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে। ভারতের সেভেন সিস্টার্স রাজ্যগুলোর ট্রানজিট পণ্য পরিবহণে চট্টগ্রাম বন্দর শতভাগ প্রস্তুত।
৭ খাতে কত আয়
ট্রানজিটের পরীক্ষামূলক দুটি চালানের জন্য সাতটি খাতের মাশুল নির্ধারণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এর মধ্যে টনপ্রতি ডকুমেন্ট প্রসেসিং ফি ৩০ টাকা, ট্রান্সশিপমেন্ট ফি ২০ টাকা, সিকিউরিটি খরচ ১০০ টাকা, এসকর্ট বাবদ খরচ ৫০ টাকা ও বিবিধ প্রশাসনিক খরচ ১০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে টনপ্রতি কাস্টমস খরচ ও মাশুল হিসেবে আদায় হবে ৩০০ টাকা। ২৫ টন রডের এক কনটেইনারে সাত হাজার ৫০০ টাকা পাবে কাস্টমস। এর বাইরে প্রতি কনটেইনার প্রসেসিং ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫৪ টাকা। অর্থাৎ এক কনটেইনার চালানে পাওয়া যাবে সাত হাজার ৭৫৪ টাকা।
লাভবান ব্যবসায়ীরাও
ট্রানজিটের পণ্য পরিবহন করে তিন খাতে আয় করবে বাংলাদেশ। এর মধ্যে
